চুনারুঘাটে পাহাড়ি ঢলে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

    0
    244

    ফারুক মিয়া,চুনারুঘাট থেকেঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় সাড়ে ৩ ঘন্টার বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে সাতছড়ি ত্রিপুরা পল্লীর রাস্তা, চা বাগানের গাইডওয়াল ও ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে পাহাড়ি ঢলে পুরনো ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চন্ডিছড়া থেকে সাতছড়ি পর্যন্ত ৫টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পুনরায় বৃষ্টি হলে যে কোন সময় এ সড়ক ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।

    স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। অতিমাত্রায় বৃষ্টির কারনে পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বসবাসরত ত্রিপুরা পল্লীর ২৪টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তা ছড়ার পানিতে ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। ফলে পল্লীর ২৪টি পরিবার এখন বাসাবন্দী হয়ে পড়েছে। ন্যাশনাল টি কোম্পানীর চন্ডিছড়া চা বাগানের নাচঘর ও মন্দির রক্ষার জন্য তৈরী প্রায় ৬০ ফুট গাইড ওয়াল ভেঙ্গে গেছে। ফলে আমু, নালুয়া চা বাগানের চলাচলের রাস্তাও বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া বাগানের লছমন মুন্ডা, লিটন মুন্ডা ও আলন রায়ের ৩টি কাচাঘর ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে তারা এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। পুরনো ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চন্ডিছড়া থেকে সাতছড়ি পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার এলাকার ৫টি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

    এ ছাড়া ওই এলাকার ৫টি ব্রিজ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে চন্ডিছড়া ও রামগঙ্গা ব্রিজ দুটি চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যে কোন সময় পাহাড়ি ঢলে এ দুটি ব্রিজ ভেঙ্গে নিয়ে যেতে পারে। সাতছড়ি ত্রিপুরা পল্লীর হেডম্যান চিত্ত দেববর্মা জানান, দু’বছর আগে ঢলে আমাদের ৪টি ঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। এখন আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি রাতে ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ায় আমরা পল্লী থেকে বের হতে পারছি না। পুনরায় বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঢলে আমাদের বসতভিটা ভেঙ্গে নিয়ে যাবে।

    ইউপি সদস্য আবু তৈয়ব মুমিন জুয়েল বলেন, আমাদের বাগানের বেশ কয়েকটি চা শ্রমিকের ঘর ভেঙ্গেছে এবং বাগানের একমাত্র মন্দির ও নাচঘর রক্ষার গাইড ওয়ালটি ভেঙ্গে গেছে। ফলে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে মন্দির ও নাচঘর।