চুনারুঘাটে গৃহবধু ধর্ষণ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা !

    0
    271

    বিশেষ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে গৃহবধুকে ধর্ষণের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। ওই প্রভাবশালী মহলটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ধর্ষিতা গৃহবধুর চরিত্রে কালিমা লেপন করে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে চুনারুঘাটের সর্বত্র আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

    উল্লেখ্য যে, ইন্টারনেটে অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে গৃহবধুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে এক যুবক। মঙ্গলবার সকালে ধর্ষিতার মা চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করলে চুনারুঘাট থানার তদন্ত ওসি আশরাফুল আলম ও এস আই ওমর ফারুকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাগিয়ারগাঁও গ্রামে অভিযান চালিয়ে গৃহবধুকে ধর্ষণকারী লম্পট আরিফুল ইসলাম আরিফ (২২) কে গ্রেফতার করে চুনারুঘাট থানায় নিয়ে আসে। সে ওই গ্রামের মদরিছ মিয়ার ছেলে।

    মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার আলীনগর গ্রামের প্রবাসী মোঃ সুমন মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (২০) কে বিগত ২০১৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাত অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে তাছলিমার বসত ঘরে ধর্ষণকারী আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রবেশ করে জুসের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে তাছলিমাকে পান করায়। তখন তাছলিমা অচেতন হয়ে পড়ে। তাছলিমাকে অচেতন অবস্থায় আরিফুল ইসলাম আরিফ ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ছবি মোবাইলে ধারণ করে। পরে ধর্ষণের ঘটনার ১০দিন পর পুনরায় ধর্ষণকারী আরিফ তাছলিমার বাড়িতে আসে এবং তার মোবাইলে ধারণকৃত অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তাছলিমাকে আবারো ধর্ষণ করে।

    সর্বশেষ গত ১০ অক্টোবর রাত অনুমান ১১টার দিকে ওই ধর্ষণকারী তাছলিমার ঘরে প্রবেশ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মঙ্গলবার সকালে তাছলিমার মা উপজেলার আলীনগর গ্রামের ইয়াকুত মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ লুৎফুন্নেছা বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী-৩) এর ৯(১) ধারা তৎসহ পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১)/৮(২)/৮(৩) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।

    ধর্ষিতা তাছলিমার মেডিকেল পরীক্ষা মঙ্গলবার দুপুর ২টায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষণকারী আরিফুল ইসলাম আরিফকে দুপুর ১২টায় হবিগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    বর্তমানে ধর্ষণকারীর পক্ষ নিয়ে একটি প্রভাবশালী মহল ধর্ষণের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ওই প্রভাবশালীরা মামলার বাদীকে মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য হুমকি-ধামকি প্রদান করছে।