চুনারুঘাটে কিশোরীকে ধর্ষণ করে গর্ভপাতের অভিযোগ

    0
    250

    চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পাক্কাবাড়ি গ্রামের প্রতিবন্ধী কিশোরী জোসনা আক্তার (১৬) কে ধর্ষণের পর জোসনার ৭ মাসের গর্ভ। অতঃপর লম্পট ইয়াকুত মিয়া বাবুর্চী জোসনার গর্ভ নষ্ট করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে লম্পট ইয়াকুত মিয়ার বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পাক্কাবাড়ি একই গ্রামের মৃত কনা মিয়ার ছেলে ইয়াকুত মিয়া বাবুর্চী আসামপাড়া বাজারে তার একটি ডেকোরেটার্সের দোকান রয়েছে।

    এ দোকানে একই গ্রামের দিনমজুরী প্রতিবন্ধী কিশোরীর বাবা বদর মিয়া ও তার স্ত্রীসহ বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়ে জোসনাকে নিয়ে গত ৩ বছর ধরে দিনমজুরীর কাজ করত। এ সুবাদে লম্পট ইয়াকুত আলী বাবুর্চীর কুনজর পড়ে প্রতিবন্ধী কিশোরী জোসনার উপর। ইয়াকুত বাবুর্চী প্রতিবন্ধী কিশোরীকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষন করে। একপর্যায়ে জোসনা ০৭ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে জোসনার মা-বাবা এলাকাবাসীর মাঝে গর্ভের বিষয়টি জানাজানি হলে তারা লম্পট ইয়াকুতকে প্রতিবন্ধী জোসনার গর্ভের বিষয়টি অবহিত করে।

    উক্ত ঘটনা দামাচাপা দিতে শুরু করে এক পর্যায়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খান সহ মেম্বার হাশিম মুন্সীর শরণাপন্ন হলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা লম্পট ইয়াকুত মিয়া বাবুর্চীকে কিশোরী ধর্ষণ ও গর্ভধারনের বিষয়টি জানতে চাইলে সে অস্বীকার করে। সুষ্ঠু বিচার না পেয়ে প্রতিবন্ধী কিশোরীর চাচা মো: আক্কাস মিয়া বাদী হয়ে গত ১৯ জুন হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ইয়াকুত মিয়াকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং- ১৪১/১৯। মামলা দায়েরের পর থেকে লম্পট ইয়াকুত মিয়া মামলার বাদী আক্কাছ আলী ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।

    একপর্যায়ে প্রতিবন্ধী কিশোরীর উপর আরো বেপরোয়া হয়ে নির্যাতন চালায় লম্পট ইয়াকুত। নির্যাতনের শিকার হয়ে অসহায় প্রতিবন্ধী জোসনা হঠাৎ করে তার প্রসব ব্যাথায় ছটপট শুরু করলে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে প্রতিবন্ধী জোসনাকে তার পরিবারের লোকজন সিএনজি যোগে চুনারুঘাট হাসপাতালে নিয়ে আসার পথ চলন্ত সিএনজির ভিতরেই প্রতিবন্ধী জোসনার ৭ মাসের একটি মৃত নবজাতক ছেলে সন্তান প্রসব করে। এ ব্যাপারে লম্পট ইয়াকুত আলীর বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী কিশোর জোসনা বাদী হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চুনারুঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ প্রতিবন্ধী কিশোরী জোসনাকে হাসপাতালে ভর্তি করে ও নবজাতক ছেলেকে সুরতহাল তৈরি করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করে।

    এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধী পরিবারের লোকজন সুবিচার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি সুদষ্টি কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল। অভিযোগ দায়েরের পর থেকে লম্পট ইয়াকুত মিয়া পলাতক রয়েছে। অন্যদিকে এস.আই জাহাঙ্গীর কবির নবজাতক ছেলে সন্তানের লাশ প্রতিবন্ধীর চাচা আক্কাস আলীর নিকট হস্তান্তর করিলে মৃতদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। লম্পট ইয়াকুত আলী বাবুর্চীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানা যায়।