চুনারুঘাটে কথিত ডাক্তার প্রদীপের সনদ জব্দ

    0
    234

    হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুনারুঘাট বাজারস্থ বাল্লা রোডের কথিত ডাক্তার প্রদীপের সনদ জব্দ ও যে কোনো ধরনের প্রাক্টিস থেকে বিরত থাকতে বলেছেন চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসন।

    সোমার (৬ মে) দুপুরে চুনারুঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর নেতৃত্বে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে এ নির্দেশ প্রদান করা হয়।

    উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) স ম আজহারুল ইসলাম জানান, নির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলার দক্ষিণ হাতুন্ডা গ্রামের প্রদীপ চন্দ্র নাথ এর চুনারুঘাট বাজারের বাল্লা রোডস্থ গ্রীণ সুপার মার্কেটের চেম্বারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    এ সময় তার বিভিন্ন সনদ পরীক্ষা করলে তার চিকিৎসা দেবার কোনো প্রকার যোগ্যতা পাওয়া যায়নি। এ জন্য প্রশাসন তাকে যে কোনো ধরনের চিকিৎসা দেওয়া থেকে বিরত থাকা ও চেম্বার বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এমনকি তাকে কাউকে ফোনে চিকিৎসা দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে বলেন। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করে অপচিকিৎসা দেওয়ার কথা বিভিন্ন গণ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

    প্রায় ৫বছর পূর্বে প্রদীপ চন্দ্র নাথ শায়েস্তাগঞ্জ রেল গেইট সংলগ্ন সেবা ফার্মেসীর কর্মচারী ছিলেন। বিভিন্ন প্রকার অপকর্ম এবং জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকায় সেখান থেকে কর্মচ্যুত হয়ে প্রদীপ চন্দ্র নাথবতী চুনারুঘাটে ডাক্তার সেজে বসে। তখন লোকাল হেলথ সার্ভিস এন্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এলএইচএসএইচডিএ)’-র সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রদীপ চন্দ্র নাথের সনদের সত্যটা নেই বলে নিশ্চিত করেছিলেন।

    ভুল চিকিৎসায় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এবং পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে, দুইজন মেডিক্যাল অফিসার ও একজন সহকারী সার্জনের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির নিকট নিজের অযোগ্যতার কথা স্বীকার করার পরও প্রকাশ্যে চিকিৎসালয় খুলে নিয়মিত প্রতারণা করে আসছিল প্রদীপ চন্দ্র নাথ নামক এই ভুয়া চিকিৎসক।

    চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধের প্রয়োগ-মাত্রা সম্পর্কে প্রদীপ চন্দ্র নাথের অজ্ঞতা ও অযোগ্যতার কথা উল্লেখ করেন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির কাছে (স্মারক- উঃ স্বাঃ ক/ চুনারু/১৭/২৬৬//৩ তাং- ০৬/০২/২০১৭ খ্রি)। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তদন্ত প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়। তদন্তের পর সে নামের আগে ডাক্তার লেখাটি কেটে নিজ চেম্বারে বসে চিকিৎসা অব্যাহত রাখে।