চুনারুঘাটে এসিল্যান্ড অফিসে ঘুষ-বাণিজ্য !

    0
    185

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৭ফেব্রুয়ারি,চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্য চলছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এসিল্যান্ড অফিসে। ঘুষ বাণিজ্যের সাথে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছেন এসিল্যান্ড তাহমিনা আক্তার। উপজেলার বিভিন্ন তফসিল অফিস থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা ঘুষ আদায় হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। এক ভুক্তভোগী ৬ ভাইয়ের ক্রয় করা দেড় একর জমি নামজারি ও খারিজ করার জন্য ৪ মাস আগে তিনি চুনারুঘাট ভূমি অফিসে আবেদন করেন।

    আবেদন করার ২০/২৫ দিন পর তিনি এসিল্যান্ডকে জানান। তারপর কাননগো বশির আহমেদের দেখিয়ে দেওয়া তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি দুদিনের ভেতর কাজটি করে দেওয়ার বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই ভুক্তভোগী বিষয়টি এসিল্যান্ড তাহমিনা আক্তারকে জানালে ৪৫ কর্মদিবস পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন। টাকা দিলে যেখানে দুই দিনেই কাজ হয়ে যায় সেখানে ৪৫ দিন অপেক্ষা করার কী মানে দাঁড়ায় তা বুঝতে কষ্ট হয় ওই ভুক্তভোগীর।

    উপজেলার জালিয়ার বস্তি গ্রামের ভুক্তভোগী রাহাত মিল্টন জানান, ৫০ শতক জমি খারিজ করার জন্য তাকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। ঘুষ দিলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী ভূমি ক্রয়-বিক্রয়সহ সকল রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

    জমি বিক্রয় বা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে নাল জমির ফি একরকম ভিটা, জলাভূমির হস্তান্তরের ভিন্ন ফি নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু কোন কোন অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী সে অনুযায়ী ভূমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে প্রকার নির্ণয়পূর্বক ফি আদায় না করায় সরকার একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লাভবান হচ্ছে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুনারুঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমি এসবের কিছুই জানি না। সব অভিযোগ মিথ্যে। আমার অফিসে কোন অনিয়ম হয় না।