চুনারুঘাটে ইয়াবায় সয়লাব উৎস নিয়ে প্রশ্ন ?

    0
    242

    চুনারুঘাট থেকে বিশেশ প্রতিনিধিঃ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে ইয়াবা বিক্রেতা ও সেবনকারীর সংখ্যা। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা সদর থেকে গ্রামে-গঞ্জে ঘটছে এর বিস্তৃতি। হাত বাড়ালেই মিলছে এই সর্বনাশা ইয়াবা। নতুন করে আসক্ত হচ্ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও ধনাঢ্য ঘরের সন্তানরা।

    মাঝেমধ্যে ইয়াবা সেবনকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান মূলহোতারা। যার ফলে, মূল হোতাদের গ্রেপ্তার ও ইয়াবা বেচাকেনার হাট চিহ্নিতকরণে পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন অভিভাবকসহ উপজেলাবাসী। তাদের প্রশ্ন-এত ইয়াবা আসে কোথা থেকে? বেচাকেনার স্পটগুলো বা কোথায়? কিছু কিছু সময় পুলিশ ইয়াবাসহ ব্যবসায়ীদের আটক করে।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়েই চুনারুঘাটে আসে ইয়াবা। খোদ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশকিছু হাটবাজারে অতি গোপনে চলে বেচাকেনা। ক্রেতাদের বেশিরভাগই উঠতি বয়সের তরুণ ও ধনাঢ্য ঘরের সন্তান। ইয়াবা আসক্ত অনেক প্রবাসী এটি সেবনের জন্য দেশে আসেন বলেও জানা যায়।

    একটি সূত্র জানায়, চুনারুঘাটের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে ইয়াবার খুচরা বিক্রেতা। তারা নিজেরা সেবনের পাশাপাশি নানা কৌশল অবলম্বন করে অন্যের কাছেও এগুলো বিক্রি করে থাকে। তাদের টার্গেট উঠতি বয়সের তরুণ ও ধনাঢ্য ঘরের সন্তান। হাতের কাছে পাওয়া যায় বলেই তরুণেরাও সহজে আসক্ত হয়ে পড়ে এই সর্বনাশা ইয়াবায়। থানা পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র চুনারুঘাটে ইয়াবার বিস্তৃতির সত্যতা স্বীকার করে জানায়, স্পট চিহ্নিত করে মূলহোতাদের গ্রেপ্তার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সচেতন অভিভাবক জানান, এ উপজেলায় যে হারে ইয়াবা বিক্রেতা ও সেবনকারীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে রীতিমত উদ্বিগ্ন আমি। মাঝেমধ্যে ইয়াবার খুচরা বিক্রেতাদেরকে গ্রেপ্তার করা হলেও তারা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে আসে। এই ব্যবসার নেপথ্যের মূলহোতাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা না হলে প্রবাসী অধ্যুষিত এ উপজেলায় সর্বনাশা ইয়াবা নির্মূল কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।

    একটি সূত্র জানায়, চুনারুঘাটের ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে লাখ লাখ টাকার মালিক বনেছেন সীমান্তবর্তী গাজীপুর ইউনিয়নের শামছু মিয়া, লেংড়া শাহিন, শিংপাড়া গ্রামের রাসেল মিয়া, পাকুড়িয়া গ্রামের ফারুক মিয়া, বড়াইল গ্রামের লাল মিয়া, ধলাইপাড় গ্রামের কাজল মিয়াসহ ১০টি সিন্ডিকেট।

    থানার ওসি কে এম আজমিরুজ্জামান বলেন, ইয়াবাসহ সবধরনের মাদকের বিরুদ্ধে আমরা শূন্য সহনশীল। ইয়াবার ডিলারদেরকে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারে কাজ করছি। যদিও চুনারুঘাটে ইয়াবা বেচাকেনার স্পট খুব একটা নেই। তবুও, যেগুলো আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে।