চুনারুঘাটে ইভটিজিং অভিযোগের তদন্ত করবে ইউএনও

    0
    249

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৫অক্টোবর,হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ আগামীকাল বুধবার তদন্ত করবেন ইউএনও কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী।উপজেলার রাজার বাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকের ফোনে কল দিয়ে জীবন নষ্ট করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রীর বাবা।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এক মেধাবী ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে যানবাহনে (টমটম) চলাচল করে সে যানবাহনের যাত্রী সেজে অশালিন ও অশ্লীল ভাষায় উত্যক্ত করে আসছে উপজেলার আলীরাজাপুর গ্রামের মির্জা আলীর পুত্র জুয়েল মিয়া (২২), আবুল কালামের পুত্র শুভ মিয়া (২১), মৃত রহিম উদ্দিনের পুত্র আরিফ মিয়া (২২), আঃ রউফের পুত্র মানিক মিয়া (২২), আশ্রাবপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার পুত্র রিমান মিয়া (২৩) ও বাগিয়ারগাঁও গ্রামের হিরন মিয়ার পুত্র মোসাহিদ মিয়া (২১)। এ নিয়ে ওই ছাত্রীর বাবা এলাকার মুরুব্বিয়ানদের নিয়ে সালিশ বৈঠক করেও কোনো সুফল পাননি। বাধ্য হয়ে তিনি তার মেয়ের স্কুল যাতায়াতের জন্য মাসুয়ারা হিসাবে একটি টমটম রিজার্ভ করে দেন।

    এতেও তিনি খুব একটা সফলতা পাননি। অভিযুক্তরা মোটরসাইকেল যোগে তার মেয়ের পিছু নিয়ে নানান ভাষায় তার মেয়েকে উত্যক্ত করেই চলে। গত ১৪ অক্টোবর স্কুল বিতরতির সময় ওই ছাত্রীকে  বিদ্যালয়ের গেইটের সামনের দোকান থেকে আচার কিনলে ওই ছেলেরা তার হাত থেকে জোরপূর্বক আচার গুলো ছিনিয়ে নিয়ে ফিল্মি স্টাইলে হাসাহাসি করতে থাকে। পরের দিন ওই ছাত্রী টমটমে থাকাকালীন সময়ে তারা তার পথ রোধ করে আটকিয়ে ছবি তুলে তা ফেইসবুকে ছেড়ে তার মানহানি ঘটাবে বলে হুমকি দেয়। ১৭ অক্টোবর বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের ফোনে অজ্ঞাত ব্যক্তি অচেনা নাম্বার থেকে কল করে ওই ছাত্রীর সাথে কথা বলতে চায়। শিক্ষক ওই ছাত্রীর হাতে মোবাইল দিলে কলার ওই ছাত্রীকে ইতিমধ্যে যা হয়েছে তার জন্য কোনো অভিযোগ না করার জন্য বলে এবং অভিযোগ করলে তার জীবন নষ্ট করে ফেলবে হুমকি দেয়।

    এ ব্যাপারে গত ২৩ অক্টোবর ওই ছাত্রীর বাবা উপজেলার খেতামারা গ্রামের মৃত আঃ খালেকের পুত্র আঃ মতিন চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আগামীকাল বুধবার বিকাল ৩টায় এ বিষয়ে তদন্ত করবেন চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী।