কৃষি বিভাগের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় কৃষকরা
আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০১ডিসেম্বর,চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ ফলন ভালো হওয়ায় আঁখ চাষের আবাদ দিন দিন বাড়ছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায়। এতে বর্তমান চাষিদের পাশাপাশি নতুনরাও আঁখ চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। হবিগঞ্জ জেলার এ উপজেলাটির মাটি ভালো হওয়ায় এখানে আঁখ চাষে গত কয়েক বছরে বেশ সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। এবারও সে ধারাবাহিকতা থাকবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
অপরদিকে আঁখের তুলনায় ধান, পাট ও অন্যান্য ফসল আবাদে খরচ বেশি। তাই এসব ফসল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা। খবর নিয়ে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার এ উপজেলার গ্রামগুলোতে আঁখ চাষ করে কৃষকরা আশানুরূপ ফলনও পেয়েছেন। এভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে ভালো জাতের আঁখ চাষ করে স্বাবলম্বীও হয়েছেন অনেকে।
চলতি মৌসুমে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় প্রায় ২শ থেকে ৩শ হেক্টর জমিতে আঁখের চাষ হয়েছে। কৃষকরা এ বছর হলুদ রঙের আঁখ, চিবিয়ে খাওয়া আঁখের আবাদ করেছেন। আশ্বিন মাসেই আঁখ চাষ করা হয়। প্রথমে জমির মাটি এক ফুট গর্ত করতে হয়। গর্তের পাশে তিনফুট জায়গা রেখে মাটির সঙ্গে বিভিন্ন সার মিশিয়ে আঁখের চারা রোপণ করা হয়। বয়স এক বছরের মাঝামাঝি হলে আঁখ বিক্রির উপযুক্ত হয়। আঁখ চাষে সার ও কীটনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না। তবে তিনবার সেচের প্রয়োজন পড়ে।
কম পরিশ্রমে ও অল্প ব্যয়ে বেশি সফলতা পাওয়ায় এখানে কৃষকরা আঁখ চাষে বেশ আগ্রহী হচ্ছেন। তবে উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও হবিগঞ্জ জেলায় চুনারুঘাট উপজেলার কৃষকরা অভিযোগ করেন নেই আঁখ চাষিদের জন্য কোনো কৃষি বিভাগের সহযোগীতা।
আঁখ চাষিদের জন্য কোনো প্রকল্পও নেই। একজন আঁখচাষি জাকির হোসেন ভূইঁয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর আঁখের ফলন ভালো হয়েছে। তিনি তাঁর জমিতে হলুদ বর্ণের গ্যান্ডারি চাষ করে লাভবান হয়েছেন। প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করে আঁখ চাষ করেছিলেন তিনি। পরে তা ৫০-৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
এদিকে, স্থানীয় কৃষকরা হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি বীজ ও সার পাওয়া যায় না। পরে আঁখ পেরালে গিয়ে একজন কৃষকের সাথে কথা বল্লে তিনি তীব্র ক্ষোভে বলেন আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আগুনের দোয়া খেয়ে কাজ করি। কিন্তু সরকার থেকে কিছুই পাই না। কেন পাই না, আর ব্যাংক থেকে লোন নিতে গেলেও আমাদেরকে লোন দেয় না। আরেকজন কৃষক আবু তাহির ভূইয়া তিনি বলেন ৮-১০কের যায়গায় আঁখ চাষ করেছি। আঁখ চাষই আমাদের অর্থ আয়ের সম্বল।
একজন গৃহিনী আখ রূপনের জন্য বিজ নিচ্ছেন, তার কাছে গেলে তিনি বলেন অন্যের জমিতে আঁখের বিজ নিয়েই ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়ার খরছ চালাই। অপরদিকে রূপনের যায়গা ট্র্যাক্টর দিয়ে আবাদ করা হচ্ছে।