চুনারুঘাটের সাবিহা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে দূর্নীতির অভিযোগ

    0
    222

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬এপ্রিলঃ  চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের সাবিহা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। গত ২৩ এপ্রিল নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দূর্নীতির শিকার অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা এমন অভিযোগ করেন।

    ঘুষ ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায় এলাকার সচেতন মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। জানা যায়, আনুমানিক ০৬ মাস পূর্বে একটি জাতীয় দৈনিকে সাবিহা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে অনেকেই আবেদন করেন। আবেদনকারীদের মধ্যে ১১ জনকে নিয়োগ পরীক্ষায় আমন্ত্রণ জানানো হয়।

    গত ২৩ এপ্রিল তারিখে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, উপস্থিত ০৩ জনের মধ্যে তাজুল ইসলাম বাদশাও একজন প্রার্থী। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব হন লুৎফুর রহমান। তিনি তার চাচাত ভাই তাজুল ইসলামকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অনিয়মের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    অনিয়মের এই চিত্র ধরা পড়লে অন্যান্য প্রার্থীরা প্রতিবাদ করেন। নিয়োগ বোর্ড গঠনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির সদস্য উপস্থিত থাকার নিয়ম থাকলেও কেবলমাত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষার সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়।

    পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ জানানোর জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকেও পাওয়া যায় নি। জানা যায়, সভাপতি আকবর হোসেন জিতুও ওইদিন অনুপস্থিত ছিলেন। নিয়োগ সংক্রান্ত ২০১১ সালের সরকারি প্রজ্ঞাপনকে পাশ কাটানোর অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শামছুল হকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। গত ২৩ ও ২৪ এপ্রিল কয়েকবার তার দপ্তরে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

    এছাড়াও মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে উক্ত কর্মকর্তা মুঠোফোনের লাইন কেটে ফোনটি বন্ধ করে রাখেন। কয়েকবার চেষ্টা করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির সাথে যোগাযোগ করলে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে সভাপতি আকবর হোসেন জিতু অনীহা প্রকাশ করেন। তবে বি ত প্রার্থীরা জানান, নিয়োগ বোর্ডে প্রয়োজনীয় পরীক্ষক উপস্থিত ছিলেন না এবং এটি একটি সাজানো নিয়োগ পরীক্ষা ছিল।

    বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে ১৯৯৩ সালে এমপিওভূক্ত মাওলানা বশির আহমদ তালুকদার, ১৯৯৬ সালে এমপিওভূক্ত মোঃ হাবিবুর রহমান, ১৯৯৭ সালে এমপিওভূক্ত আব্দুস সামাদ আজাদ ও ১৯৯৭ সালের এমপিওভূক্ত মোঃ লুৎফুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম নিজের আসনকে পাকাপোক্ত করার জন্য বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের পাশ কাটিয়ে চাচাত ভাই লুৎফুর রহমানকে উক্ত নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব করেন।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান, ঘুষ-দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায় যোগ্য প্রার্থী বি ত হবার পাশাপাশি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে দূর্নীতিগ্রস্থ করার প্রক্রিয়া চলছে। উক্ত নিয়োগ পরীক্ষাকে বাতিল করে স্বচ্ছ ও দূর্নীতিমুক্ত নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি উজ্জল করতে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন চুনারুঘাটের শিক্ষিত ও সচেতন মহল।