চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ভ্রমনপিপাসুদের ভিড়

    0
    223

    পাহাড়ী ঢলে ঢাকা-সিলেট সড়কের ব্রীজ ভেঙ্গে গেলেও বাঁধাভাঙ্গা জোয়ার

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৯জুন,চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ ঈদের ছুটিতে চুনারুঘাট উপজেলার পর্যটন এলাকা সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, রেমা কালেঙ্গা অভয়ারন্য, গ্রীনল্যান্ড পার্ক ও চা বাগানসহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্রমনপিপাসুদের বাধঁভাঙ্গা জোয়ার নেমেছে। ঈদের দিন দুপুরর পর থেকেই দলে দলে পর্যটকরা ভীড় করতে থাকেন এসব এলাকায়। ঈদের পুর্বের দিন থেকে গত ৪ দিন বৃষ্টি না থাকায় ভ্রমনপিপাসুরা মনের ইচছামতো ঘুরে বেড়িয়েছেন তাদের পছন্দের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।

    এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাড়কের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের সড়কে চন্ডিছড়া ভাঙ্গা ব্রীজও ধমিয়ে রাখতে পারেনি পর্যটকদের। বিকল্প সড়কে এবং পায়ে হেটে ব্রীজ পাড় হয়ে ঈদের দিন থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভ্রমনপিপাসুদের ঢল নেমেছিল পার্কে। হাজার হাজার মানুষ আর শত শত ছোট বড় গাড়ির কারণে দিনভরই যানজট ছিল সাতছড়িতে। তাদেরতে সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছে পুলিশসহ পার্কে নিয়োজিত ভলান্টিয়ারগনও। ভীড় ছিল উপজেলার সবকটি চা বাগানেও। বি-বাড়িয়া, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ভ্রমনপিপাসুরা এক নজর চা বাগান দেখতে ভীড় করেন চান্দপুর, চন্ডিছড়া, সাতছড়ি, দেউন্দি, আমু, লস্করপুর ও নালুয়াসহ বিভিন্ন চা বাগানে।

    এতে চা বাগান কর্তৃপক্ষ কিছুটা নাখোশ হলেও পর্যটকরা বেশ আনন্দভোগ করেছেন দিনভর। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে গত চার দিনে প্রায় দুই লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে বলে জানিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। পার্কে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুযোগ সুবিধার কারণে এবারই প্রথম পার্কে কোন প্রকার অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন পার্ক ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। উদ্যানে ঈদের দিন ২০ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। কিন্তু এদের বেশিরভাগ পর্যটক টিকেট নেননি। ফলে রাজস্ব আদায় অর্ধেক কমে গেছে। যারা উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করেছেন, শুধু তারাই টিকেট নিয়েছেন। বাকীরা সড়কে ও আশপাশেই ঘুরাফেরা করে ফিরে গেছেন।

    এদিকে রেমা কালেঙ্গা অভয়ারন্য এবং গ্রীনল্যান্ড পার্কে সারাদিনই ছিল ভ্রমনপিপাসুদের ভীড়। যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা খারাপ থাকায় রেমা কালেঙ্গা অভয়ারণ্যে পর্যটক ছিল কম। ফলে বিপুল সংখ্যক পর্যটক ঘূরে বেড়িয়েছেন চা বাগানে।

    আগামী শনিবার পর্যন্ত চুনারুঘাটের পর্যটন এলাকায় মানুষের ভীড় থাকবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।