চুনারুঘাটের টনিক বিক্রেতা দন্ত প্রযুক্তিবিদ তৌহিদুল

    0
    240

    আমার সিলেট  24 ডটকম,১১নভেম্বর,চুনারুঘাট সংবাদদাতাহবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ফলের টনিক বিক্রেতা থেকে দন্ত প্রযুক্তিবিদ ভূয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে তৌহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি রীতিমত চেম্বারে বসে দাতের রোগী দেখছেন এবং রোগীদের দাঁত উঠানো, বাঁধানো, স্কেলিং, রুট ক্যানেল ও ক্যাপের কাজ করছেন। তার অপচিকিৎসার খপ্পরে পড়ে অনেক দাতের রোগী প্রতারিত হয়েছেন। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চুনারুঘাট পৌর শহরের পশ্চিম পাকুড়িয়া গ্রামের ডিসিপি হাইস্কুলের সন্নিকটে ফলের টনিক বিক্রেতা তৌহিদুল ইসলাম নিজের নামের পাশে দন্ত প্রযুক্তিবিদ ডিগ্রি ব্যবহার করে দাতের রোগী দেখে যাচ্ছেন এবং রোগীদের দাঁতের বিভিন্ন কাজ করেছেন। যেখানে মানবদেহের অন্যতম একটি অংশ দাঁত সেখানে একজন ফলের টনিক বিক্রেতা কি ভাবে এ ধরণের অপচিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন তা সচেতন মহলের বোধগম্য নয়। দাঁত বসানো, বাঁধানো, উঠানো, স্কেলিং, রুট ক্যানেল ও ক্যাপ করা একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। কিন্তু ডিগ্রি ছাড়াই তৌহিদুল ইসলাম রোগীদের সাথে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা।

    উল্লেখ্য, ফলের টনিক বিক্রেতা তৌহিদুল ইসলামের বাড়ী বি-বাড়ীয়া জেলার নাছিরনগর উপজেলায়। তিনি বিগত ৮/৯ বছর পূর্বে চুনারুঘাটে আসেন এবং পৌর শহরের মধ্যবাজার, বাল্লা রোডসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ক্যাম্বাসার হিসেবে ফলের টনিক বিক্রি করা শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ ৩ বছর পূর্বে পৌর শহরের পশ্চিম পাকুড়িয়া গ্রামের ডিসিপি হাই স্কুলের সন্নিকটে তৌহিদুল ইসলাম সামী দন্ত চিকিৎসালয় নামে চেম্বার খুলে নিজের নামের পাশে দন্ত প্রযুক্তিবিদ ডিগ্রি ব্যবহার করে রোগী দেখা শুরু করেন। তার অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন অনেকেই। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দন্ত প্রযুক্তিবিদের সনদ আছে কি না বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগী রোগী সাধারণ।