চা-শ্রমিকদের সরকারি নির্দেশে ছুটি পালন করতে মানববন্ধন

    0
    229

    “প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা, ‘করোনা সংক্রমণ ঘটলে দায়ভার বাগান মালিকদের নিতে হবে’ শ্রমিকদের হুশিয়ারী”

     

    জহিরুল ইসলাম,শ্রীমঙ্গল: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা বাগানগুলোতে চা-শ্রমিকদের সরকারি নির্দেশ মোতাবেক ছুটি পালন জরুরী হয়ে পড়েছে। ফলে  ছুটি ঘোষনার দাবীতে প্রতীকি কর্মবিরতি ও মানববন্ধন করেছে ফিনলে চা কোম্পানীর রাজঘাট চা বাগানের শ্রমিকরা। সোমবার সকাল থেকে দিনের প্রথমভাগ পর্যন্ত উপজেলার রাজঘাট চা বাগান চৌমুহনায় এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
    শ্রমিকরা বলছে, শ্রীমঙ্গলের চা বাগানগুলোতে অনিরাপত্তার মাঝে শ্রমিকরা কাজ করছে। সরকার যেখানে সারাদেশের মানুষকে বলছে ‘ঘরে থাকার জন্য’ সেখানে চা কোম্পানীগুলো প্রচন্ড ঝুঁকি থাকা সত্বেও শ্রমিকদেরকে কাজে যেতে বাধ্য করছে। এমনিতেই চা বাগানে নেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিম্নতম সুবিধা উপরন্তু এই করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় শ্রমিকদের ছুটি না দিয়ে কাজে নামাচ্ছে মালিকরা।
    রাজঘাট ইউপি সদস্য ও চা শ্রমিক নেতা সুমন কুমার তাঁতী ও নারী চা শ্রমিক সুফলা তাঁতী বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা কিছুই পাওয়া যায়নি। সাবান, মাস্ক ইত্যাদি আমাদের প্রয়োজন। বাগান থেকে আমাদের তেমন কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা কখনোই দেওয়া হয়না। সবাই বলছে বার বার হাত ধোতে, মাস্ক ব্যবহার করতে। ১০২ টাকা প্রতিদিন পেয়ে কিভাবে আমরা সাবান/ হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনব আপনারাই বলেন। যদি করোনা ভাইরাস চা বাগানে ছড়ায় তাহলে ভয়ংকর রুপ নিবে, যার সকল দায় দায়িত্ব বাগান মালিকদেরই নিতে হবে, এ ব্যাপারে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
    বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের রাজাঘাট বাগান প ায়েত সভাপতি পলাশ কুমার তাঁতী বলেন, আমরা বাগান কর্তৃপক্ষকে বার বার বলার পরও ছুটি ও সুরক্ষা সরঞ্জাম কিছুই পাচ্ছি না। যা আমাদের উদ্বিগ্নতাকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। আজ রাজঘাট চা বাগানে আমরা দুই ঘন্টা কর্মবিরতী পালন করেছি।
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজঘাট চা বাগানের মহাব্যবস্থাপক মায়নুল হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।