চা শ্রমিকদের এককালীন সহায়তা প্রদানে ব্যাপক অনিয়ম

    0
    249

    শাব্বির এলাহী,কমলগঞ্জ: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতাায় কমলগঞ্জ উপজেলায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের ২২টি চা বাগানে চা শ্রমিকদের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা এককালীন ৫০০০ হাজার টাকার চেক বিতরণের জন্য ৩ হাজার শ্রমিকের নাম তালিকাভুক্ত করতে ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৮ সালের বরাদ্দকৃত চেক চলতি বছরের জুন মাস থেকে বিতরণ শুরু করছে সমাজ সেবা অধিদপ্তর। শমসেরনগর ও কানিহাটি চা বাগানের তালিকায় দুইএনআইডি নাম্বারের বিপরীতে ৭৪জন শ্রমিকের নাম রয়েছে।

    একইভাবে অন্যান্য চা বাগানের ষ্টাফ, কর্মচারী, অশ্রমিক, জনপ্রতিনিধির আত্মীয়স্বজনদের নামও তালিকায় রয়েছে। চা বাগান সংশ্লিস্টরা বিষয়টি তদন্ত করার দাবী জানিয়েছেন।জানা যায়, সম্প্রতি মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাংসদ উপাধ্যক্ষ . মো. আব্দুস শহীদ আনুষ্ঠানিকভাবে ২২০০ জন শ্রমিক পরিবারের মাঝে ৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ করার মাধ্যমে কমলগঞ্জ উপজেলায় এ কার্য়ক্রম উদ্বোধন করেন। তারপর থেকেই সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাগান প ায়েত কর্তৃক তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম উঠেছে। বিশেষ করে শমশেরনগর ও কানিহাটি চা বাগানের তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়েছে। তালিকায় দেখা যায়, শমশেরনগর চা বাগানের প্রাপ্ত ১১৩ নং হতে ১৪০ নং পর্যন্ত ২৭জন শ্রমিকদের নামের পাশে একই এনআইডি (৫৮১৫৬৮৫) নাম্বার দেয়া আছে। একই তালিকায় শমশেরনগর শিংরাউলী গ্রামের মাইক্রোবাস চালক নুনু মিয়ার নামও রয়েছে। তাছাড়া তালিকাভুক্ত অধিকাংশ চা বাগানের নিবন্ধিত চা শ্রমিক নন।

    একই চা বাগানের ফাঁড়ি বাগান কানিহাটি চা বাগানের নামের তালিকায় আরেকটি এনআইডির (৫৮১৫৬৮৫৯৫) বিপরীতে ১নং হতে ৪৫নং পর্যন্ত ৪৫ জন শ্রমিকদের নাম রয়েছে। একইভাবে উপজেলার আলীনগর চাবাগানের তালিকায়ও ষ্টাফ, কর্মচারী ও চাকুরীজীবিদের নামও রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাধবপুর, পাত্রখোলা, মৃত্তিঙ্গা, চাম্পারায়সহ বেশ কয়েকটি বাগানের স্থানীয় প ায়েত ও জনপ্রতিনিধিরা শ্রমিকদের নাম ব্যবহার করে টাকা নয়ছয় করতে এমন আশ্রয় নিয়েছেন বলে সাধারণ শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন।্ অপর দিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা সারা উপজেলায় বিতরণকৃত চা শ্রমিকদের এককালীন সহায়তার নামের তালিকা সমাজসেবা অধিদপ্তরে চাইলে সমাজ সেবা অফিসার তালিকা দিতে রাজি হননি পরে তথ্যাধিকার আইনে আবেদন করেছেন বলে জানা যায়।

    এ বিষয়ে কানিহাটি চা বাগানের ইউপি সদস্য সীতারাম বীন বলেন, তালিকা আমি করিনি। স্থানীয় বাগান প ায়েত ও চেয়ারম্যান করেছেন বলে জেনেছি। শমশেরনগর চা বাগানের ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী বলেন, অনিয়ম বিষয়টি তার জানা নেই, তবে ইউনিয়ন অফিসের কম্পিউটারে তালিকা করা হয়। হয়তো সেখানে ভুল হতে পারে।

    কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা প্রাণেশ চন্দ্র বর্মা বলেন, কিছু অনিয়মের কথা শুনেছি তবে চেক বিতরণ করা হলেও সমাজ সেবা বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে চেকের টাকা প্রদানে এখনও কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।