চা পাতার ওজনে ঠকানোর প্রতিবাদে দুই ঘন্টা কর্মবিরতি

    0
    278

    হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার লস্করপুর চা বাগানে গত ২৪ জুন চা শ্রমিকদের চা পাতা ওজনের সময় ৪-৬ কেজি চা পাতা কর্তন করার প্রতিবাদে আজ বাগানের অফিস প্রাঙ্গণে প্রতিবাদি ঝড় তুললেন চা শ্রমিকরা।
    চা শ্রমিকের সন্তান শ্রী প্রসাদ চৌহান সোমবার দুপুর ১২.৩০ মিনিটে বাগানের ১৭ নম্বর সেড ঘরে ওজন মাপার সময় বিষয়টি প্রত্যক্ষ ভাবে লক্ষ্য করেন এবং সেই কাজে নিয়োজিত থাকা নিপেন বাবুকে প্রশ্ন করেন ৪-৬ কেজি চা পাতা ওজন থেকে কমানোর অনুমতি কোথা থেকে পেয়েছেন,উত্তরে নিপেন বাবু জানান চা বাগানের ম্যানেজার এবং চা শ্রমিকরা বিষয়টা জানেন,কিন্তু চা শ্রমিকদের কাছে জানতে চাইলে চা শ্রমিকরা বিষয়টা অস্বীকার করেন।পরবর্তী সময়ে বাগানের ম্যানেজার কাছে জানতে চাওয়া হবে বলে সেখান থেকে চলে যায় বাড়িতে।

    অন্যদিকে ২৫ জুন দুপুরে পাতা ওজনের সময় সেকশনের কাজে নিয়োজিত থাকা নিপেন বাবু প্রত্যক্ষ ভাবে প্রধান ম্যানেজার আরিফ আহমেদের কাছে অভিযোগ করেছে “শ্রী প্রসাদ” নামের এক ছেলে খারাপ ব্যবহার করেছেন। বিষয়টা বোঝে উঠার আগেই চা শ্রমিকদের উপস্থিতিতে ছেলেটা কোন জায়গার ফালতু ছেলে এবং কোন সাহসে সেকশনে এসব কথা বলে,তাকে ধরে চড় থাপ্পর মারা উচিত ছিলো বলেছেন বলে চা শ্রমিকদের কাছে জানা যায়।

    তারই ফল স্বরুপ আজ সকল চা শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ব ভাবে প্রতিবাদ করার অনুপ্রেরণা জাগিয়ে চা শ্রমিক, শিক্ষার্থী, যুবক যুবতি সহ সবাইকে নিয়ে বাগানের অফিস প্রাঙ্গণে সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত বাগানের ম্যানেজার আরিফ আহমেদকে প্রশ্ন করে জানতে চাওয়া হয় যে ৪-৬ কেজি চা পাতা কর্তন করার অনুমতি কেনো দিয়েছেন বাবুকে,উত্তরে বড় ম্যানেজার জানান যে ১ কেজি চা পাতা কাটারোও অনুমতি দেওয়া হয় নাই বাবুকে,এবং গালিগালাজ করার জন্য চা শ্রমিকদের কাছে এবং শ্রী প্রসাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন জনাব আরিফ আহমেদ।
    সকল চা শ্রমিকরা দাবি করেছেন নিপেন বাবু যেনো বাগান থেকে চলে যান এবং চা শ্রমিকের যেনো ডিজিটালে মেশিনে পাতা ওজন করা হয় তাছাড়া বাগানের শিক্ষিত কোন মহিলা চা শ্রমিক যেনো ওজনের বিষয়টা প্রতিদিন খেয়াল করেন। চা শ্রমিকদের এইসব দাবি পুুরন করবেন বলে আশ্বাস দেন প্রধান ম্যানেজার এবং বলেন এর পরবর্তী সময়ে যদি কোন বাবু এক কেজিরও বেশি পাতা কর্তন করে তাহলে তাকে বাগান থেকে বহিঃস্কার করা হবে।
    চা শ্রমিকরা বলেন দুইমাসের মধ্যে যদি বাগান থেকে বাবুকে বহিঃস্কার করা না হয় তাহলে বাগানে কাজ কর্ম বন্ধ থাকবে।
    অবশেষে চা শ্রমিকরা আবারো তাদের কর্মে ফিরে গেলেন।