চট্টগ্রাম মাদ্রাসায় বিস্ফোরণে নিহত ২ ইজাহারপুত্র গ্রেপ্তার

    0
    267

    আমারসিলেট 24ডটকম,০৯অক্টোবর : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  আজ বুধবার সকাল ৬টার দিকে জোবায়ের হোসেন (২৩) নামে আর এক  যুবকের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ২ জন মারা গেলেন ।জোবায়ের  নগরীর লালখান বাজার এলাকায় জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসারই ছাত্র ছিলেন। তার বাবার নাম মকবুল হোসেন।গত সোমবার হেফাজতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুফতি ইজাহারুল পরিচালিত ওই মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে বড় ধরনের বিস্ফোরণ  ঘটে। এতে ওই কক্ষের সব কিছু পুড়ে যায়, আহত হন কম পক্ষে  পাঁচ জন।

    বিস্ফোরণের  পরে মাদ্রাসায় তল্লাশি চালিয়ে হ্যান্ড গ্রেনেডসহ বিস্ফোরক এবং এসিডের অনেকগুলো বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ।ঘটনার পর,গোপনে চিকিৎসা নেওয়ার সময় সোমবার দুপুর ও বিকালে হালিশহর জেনারেল হাসপাতাল ও পাঁচলাইশ থানাধীন সার্জিস্কোপ নামের দুটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে জোবায়েরসহ আহত চার যুবককে আটক করে পুলিশ। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।এদের মধ্যে মো. হাবিব (২৫) নামে আরেক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  সোমবার রাত ৩টার দিকে মারা যান।আহত নুরুন্নবী নামের আরেক যুবককে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের সুত্র মতে, নুরুন্নবী চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী।এছাড়া সালমান নামে আহত আরেক যুবক চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।বিস্ফোরক ও এসিড উদ্ধারের ঘটনায় চট্টগ্রামের খুলশী থানায় “বিস্ফোরক ও এসিড আইনে” দুটি মামলা হয়েছে, যাতে মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী ও তার ছেলের হারুন বিন ইজাহারকে ও আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ইজাহারপুত্র হারুনকে বুধবার ভোররাতে হাটহাজারী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    ইজাহার পুত্র হারুন
    ইজাহার পুত্র হারুন

    উল্লেখ্য , প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে গতকাল বিকেলে দারুল উলূম আলীয়া মাদরাসায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগর পুলিশের একটি দল তল্লাশি চালিয়ে চারজনকে আটক করে। এসময় অবৈধ কোনকিছু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- মো. জাবেদ, মো. কফিল উদ্দিন, মোহাম্মদ মনির ও আব্দুল কাইয়ুম। জানা গেছে, তারা ওই মাদরাসার আবাসিক ছাত্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইসলামী ছাত্র শিবির নিয়ন্ত্রিত দারুল উলূম মাদরাসায় তল্লাশি চালানো হয়। এসময় সন্দেহভাজন হিসেবে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তবে সেখান থেকে অবৈধ কিছু পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, মুফতি ইজহারুল ইসলাম ওই মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েছেন এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে পুলিশ অভিযান চালায়।