চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি

    0
    242

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৭নভেম্বরঃ  বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার ও বহিষ্কারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

    রোববার ভোর ছয়টা থেকে সচেতন ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যানারে দিয়াজের অনুসারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। অবরোধের কারণে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ধরনের ক্লাস শুরু হয়নি।

    বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. মামুন বলেন, ‘দিয়াজ হত্যার বিচার দাবিতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি। দিয়াজের মায়ের মতো আর কোনো মায়ের বুক যেন সন্ত্রাসীরা খালি না করতে পারে, এ জন্য আমরা এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমাদের পাঁচ দফা দাবি না মানলে অবরোধ কর্মসূচি চলতে থাকবে।’

    আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবি হলো- দিয়াজ হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে দ্রুত অপসারণ ও চাকরিচ্যুত করতে হবে, এই হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ, দিয়াজ হত্যা মামলার সব আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে, পূর্বের ময়নাতদন্ত বাতিল করে আবারও ময়নাতদন্ত করতে হবে, শিক্ষায় সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

    বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আইন সম্পাদক আবু সাঈদ মারজান বলেন, ‘দিয়াজ হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে দ্রুত অপসারণ এবং চাকরিচ্যুত করার দাবিতে আমরা এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি।’

    গত ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেট এলাকার নিজ বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দু`দিন পর ২৩ নভেম্বর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, আত্মহত্যা করেছেন দিয়াজ।  কিন্তু তার পরিবার এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দাবি করে, দিয়াজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

    এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শিপলু কুমার দের আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুসহ ছাত্রলীগের নয় নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।পার্সটুডে