চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলাগুলিঃনিহত-১

    0
    250

    আমারসিলেট24ডটকম,১৪ডিসেম্বরঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় পালি ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র তাপস পাল নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পুলিশ শাহজালাল হলে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ২৭ জনকে আটক করেছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে শাহজালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ রোববার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবীর স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে ফেরার পথে ছাত্রলীগের ভিএক্স কর্মীরা সিএফসি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করে। এতে উভয় গ্রুপের কর্মীদের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।
    পরে উভয় গ্রুপ হলে গিয়ে দেশি ও বিদেশি অস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে শাহজালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে  সিএফসি গ্রুপের রিমন ও তাপস পাল গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে তাপস পাল মারা যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
    বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সিরাজদ্দৌলার সূত্রে জানা যায় তিনি বলেন, ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যেকোনো ধরনের সহিংস ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
    চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের নেতা অমিত কুমার বসু  কান্নাজড়িত কণ্ঠে  বলেন, আমার ছোট ভাই মারা গেছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।
    উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর চট্টগ্রাম সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দ্বন্দ্ব নিয়ে ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেন। এরপর দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনকে দায়িত্বও দেয়া হয়। গত ১৬ নভেম্বর  মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবনে বৈঠক করে ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের’ ঘোষণা দিয়েছিলেন ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। ওই ঘোষণার এক মাসের মাথায় ফের এই ঘটনা ঘটে  গেল।সুত্রঃ নতুনবার্তা।