চট্টগ্রামে সংঘর্ষঃবকেয়া পরিশোধের দাবীতে আলোচনা চলছে

    0
    241

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,২৯আগস্ট,ডেস্ক নিউজঃ বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি আমিন জুট মিলের শ্রমিকরা চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে । সংঘর্ষের পর মিলের সামনের সড়কে শ্রমিক অবরোধে বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল।

    মঙ্গলবার ১০টা থেকে বন্দরনগরীর বায়েজিদ এলাকায় আমিন জুট মিলের সামনের সড়কে বকেয়া বেতনের দাবিতে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ শ্রমিকদের কারাখানার ভেতরে যেতে বাধ্য করে। এরপর আবার শ্রমিকরা এক হয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসে। এসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। এসময় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

    শ্রমিক অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কে নগরীর আতুরার ডিপো থেকে রৌফাবাদ অংশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে মিল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের আলোচনা চলছে।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রমিকরা সড়কের ওপর কাঠ-টায়ার জড়ো করে আগুন দিয়েছে। কয়েকটি গাড়িও ভাংচুর করেছে।
    আমিন জুট মিলের তাঁত শ্রমিক মো. করিম জানান, আমাদের সাত সপ্তাহের বেতন বাকি। ঈদের আর মাত্র কয়দিন বাকি। কোনো বেতন-বোনাস দেওয়া হয়নি। আজ (মঙ্গলবার) বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা ছিল। সকালে কারখানায় আসার পর তারা দুই সপ্তাহের বেতন দিতে চায়।
    এরপরই শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসে। আমিন জুট মিলের ১৫টি বিভাগে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় সাত হাজার শ্রমিক কাজ করেন। আমিন জুট মিলে ‘সপ্তাহ’ ভিত্তিতে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হয়।
    শ্রমিকরা জানান, সকাল ১০টার দিকে সড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের কারখানা প্রাঙ্গণে ঢুকিয়ে দেয়। পরে আবার বেরিয়ে এলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এসময় শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়লে জবাবে পুলিশও রাবার বুলেট ছোড়ে। শ্রমিকদের দাবি তাদের ১০-১২ জন সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। তবে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মিলের মূল ফটক ও আশেপাশের এলাকা থেকে সরে যায় পুলিশ। পুলিশ সরে যাওয়ার পর ফের সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা। এসময় তারা পাশের রেললাইনও অবরোধ করে।
    সড়ক অবরোধের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও পথচারীরা। নগরীর থেকে হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িগামী যাত্রীদের মালপত্র নিয়ে হেঁটেই মিল এলাকা পার হতে দেখা যায়।
    চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আব্দুল ওয়ারিশ সাংবাদিকদের বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত। শ্রমিকরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। মাঝে মাঝে ইট-পাটকেল মারছে। আলোচনায় মিল কর্তৃপক্ষ তিন সপ্তাহের বকেয়া বেতন পরিশোধে রাজি হয়েছে। শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারাও সেটা মেনেছেন, তবে শ্রমিকদের কিছু অংশ সেটা মানছে না। তাই আলোচনা চলছে। আশাকরি সমাধান হবে। সংঘর্ষে কোনো পুলিশ সদস্য আহত হননি বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল ওয়ারিশ।ইত্তেফাক