চট্টগ্রামে মওলা আলী কনফারেন্স ও ইফতার মাহফিলে বক্তারা

    0
    252

    “হযরত আলী (রাঃ) ছিলেন সর্বগুণে গুণান্বিত অতুলনীয় চরিত্রের অধিকারী”

    খাজা-এ বাঙ্গাল ইমাম শেরে বাংলা (রহ.) সুন্নী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গতকাল ৩০ মে বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত মওলা আলী শেরে খোদা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর শাহাদাত বার্ষিকী স্মরণে মওলা আলী কনফারেন্স ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চসিক ৩৫ নং বক্সিরহাট ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মুহাম্মদ নুরুল হক। কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন বোয়ালখালী হাওলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে তরিকত শাহসুফী মাওলানা সৈয়দ নঈমুল কুদ্দুস আকবরী (ম.জি.আ)।

    উদ্বোধক ছিলেন, আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমিন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন, ইমাম শেরে বাংলা (রহ.) সুন্নী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা মুছা কাদেরী। মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের স ালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খলিফায়ে আমির ভান্ডার আলহাজ্ব সৈয়দ সালামত আলী আল আমিরী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব মাওলানা রেজাউল করিম তালুকদার, দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি মাস্টার আবুল হোসাইন, লালিয়ারহাট হোসাইনিয়া মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা সোহাইল উদ্দিন আনসারী, ইমাম শেরে বাংলা (রহ.)’র দৌহিত্র শাহজাদা আজমুল হক টিপু, ইমাম শেরে বাংলা মডেল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ডি.আই.এম জাহাঙ্গীর আলম, নূরীয়া বিষু দরবার শরীফের প্রতিনিধি মাওলানা আবদুর রহমান, মাওলানা আবদুল মজিদ। আলোচনায় অংশ নেন, শেরে বাংলা (রহ.) ফাউন্ডেশন এর মহাসচিব এস এম নিজাম উদ্দিন, মহানগর যুবসেনার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন খান, কোতোয়ালি থানা ছাত্রসেনার সভাপতি মাহবুবুর রহমান বাহার, সাধারণ সম্পাদক নুর রায়হান চৌধুরী, ফাউন্ডেশন এর প্রচার সচিব ইয়াকুব আলী প্রমুখ।

    প্রধান অতিথি সৈয়দ নঈমুল কুদ্দুস আকবরী বলেন, ইসলামের ৪র্থ খলিফা হযরত আলী (রা.) কিশোর বয়সে ইসলাম গ্রহণের পর থেকে মহানবী (দঃ) এর সঙ্গি হয়ে ঘরে-বাইরে, স্বদেশে-বিদেশে, কথায়-কাজে, শারীরিক-মানবিক, আর্থিকসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অকৃত্রিম আন্তরিকতার সাথে সেবায় নিযুক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন ভদ্র নম্র সভ্য সত্যবাদী। এক কথায় হযরত আলী(রাঃ) সর্বগুণে গুণান্বিত অতুলনীয় চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। শিক্ষা-দীক্ষায়ও হযরত আলী ছিল অনন্য।

    এমন কোন বিষয় ছিলনা যা যা হযরত আলী(রাঃ) জ্ঞাতার্থ নয়। সাহিত্য, দর্শন, চিকিৎসা, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্ম, বাণিজ্য প্রভৃতি সর্ব বিষয়ে ছিল তাঁর অগাধ পান্ডিত্য। এমনকি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) তাঁর সম্পর্কে বলেছেন,আমি জ্ঞানের শহর, আর আলী ওই শহরের দরজা। নবুয়ত সমাপ্তির পর হযরত আলী (রাঃ) এর মাধ্যমে বেলায়ত শুরু। আমাদের মুসলিম সমাজকে সঠিক পথের দিশা পেতে হলে মওলা আলীর অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে।

    বক্তারা বলেন, হযরত মওলা আলী মরতুযা (রা.) বিশ্বজাহানের জন্য একজন স্মরণীয় বরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন আধ্যাত্মিক জগতে শ্রেষ্ঠ। সহনশীলতা ও ধৈর্য্যরে ক্ষেত্রে তিনি যেমন সর্বোচ্চ পর্যায়ে তেমনি সাহসিকতার ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ ইবাদতকারী। নিঃস্ব ও সম্পদহীন, অথচ সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। দানশীল ছিলেন বলেই সম্পদ তাঁর হাতে গচ্ছিত থাকত না। তার সাহসিকতা, শৌর্য আর সংগ্রামী আত্মার মোকাবিলায় পাথর, শীলা বা ধাতুও গলে যায়। আবার তাঁরই চারিত্রিক কোমলতা মৃদুমন্দ বাতাসকেও লজ্জা দেয়। একই ব্যক্তির মধ্যে কোমলতা ও কঠোরতার এক অপূর্ব সমন্বয়। তাই সত্য প্রতিষ্ঠায় হযরত আলী (রা.) জীবনাদর্শ যুগ-যুগান্তরের কালচক্রে মানবজাতিকে আলোর পথ দেখাবে।