ঘূর্ণিঝড় নাডাঃ১০ লাখ মানুষের মাঝে আতঙ্ক,বিপদ সঙ্কেত-৪

    0
    228

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৫নভেম্বরঃ  ঘূর্ণিঝড় নাডা’র প্রভাবে ভোলায় তিনদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি  ও দুর্যোগপূর্ণ বাতাস বইছে।মেঘলা আবহাওয়ায় চারিদিকে শুনশান নিরবতা। বাজার কিংবা রাস্তা-ঘাট কোথাও নেই মানুষের আনা-গোনা। চলছে প্রশাসন কর্তৃক সতর্কতামূলক মাইকিং।
    খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। আবহাওয়ার এহেন অবস্থায় ভোলার উপকূলের প্রায় ১০ লাখ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

    বঙ্গোপসাগরে বৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় নাডা বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। আবহওয়া বিভাগের বুলেটিনে মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘নাডা’ মাত্র ৮৮৫ মাইল দূরে আবস্থান করছে। এদিকে এসব খবরে ভোলা সদরসহ উপকূল এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় দেশের বন্দরগুলোতে বিপদ সঙ্কেত ৩ নম্বর থেকে বাড়িয়ে ৪ নম্বর করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

    এতে করে নড়েচড়ে বসেছে ভোলা জেলা প্রশাসন। জেলার সকল নৌরুটে যাত্রী পারাপারের যানবাহনগুলো ছেড়ে যায়নি। রাত্রী যতই ঘনিয়ে আসছে উপকূল এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক ততই ঘনীভূত হচ্ছে।

    স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, এখনো পর্যন্ত বাড়িতেই আছি। তবে অবস্থা বেশি খারাপ মনে হলে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাবেন বলে জানান।

    ভোলা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় নাডার প্রভাবে শনিবারসহ গত তিনদিন ধরে ভোলায় বৃষ্টি ও  থেমে থেমে দমকা বাতাস বইছে।এ ব্যাপারে ভোরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করণীয় ঠিক করতে সন্ধ্যায় মিটিং করা হয়।
    বিচ্ছিন্ন চরগুলো থেকে জনসাধারনকে নিরাপদে নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরকে বলা হয়েছে। কয়েটি উপজেলায় রেডক্রিসেন্ট মাইকিং করছে। কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। এছাড়া জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

    এদিকে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সাতক্ষীরা ও খুলনাসহ দেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরের কথা স্মরণ করে তারা নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। এ সব এলাকায় ছোট নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

    অপরদিকে সাগরে মাছ ধরা সব নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয় থাকতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়গ্রহণ করেছে বলেও সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছেন।