আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৬সেপ্টেম্বর,তানভীর ইউসুফ রনী,সিবিএনএ কানাডা থেকে: “গ্লোবাল ফান্ড কনফারেন্সে যোগ দিতে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে কানাডার মন্ট্রিয়লে এসে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে চার টায় এয়ার কানাডার একটি বিশেষ ফ্লাইটে লন্ডন থেকে মন্ট্রিয়লে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজানুর রহমান, কানাডার একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি বিশেষ প্রটোকলে মন্ট্রিয়ল ডাউনটাউনের অমনি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় বিমান বন্দরে কানাডা আওয়ামীলীগের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে আসলেও বিশেষ নিরাপত্তার কারনে বিমানবন্দরে কাউকেই তাঁর সাথে দেখা করতে দেয়া হয়নি। আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ এতে কিছুটা হতাশ হলেও দলনেত্রীর নিরাপত্তার ব্যাপারে চিন্তা করে তারা সন্তুষ্ঠই হন। হোটেল অমনিতে যখন প্রধানমন্ত্রী পৌঁছান সেখানেও ছিলো নেতাকর্মীদের ভীড়। সেই সাথে ছিলো আর সি এম পি, মন্ট্রিয়ল পুলিশ ও বাংলাদেশ থেকে আসা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী এস এস এফ এর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মধ্যরাতেও নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার জন্য হোটেলেই অবস্থান করছিলেন।
যদিও সন্ধ্যার দিকে প্রধানমন্ত্রী কানাডা আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় কয়েক নেতার সাথে কথা বলেন এবং নির্দেশনা দেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে স্থানীয় আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে “নাগরিক গন সংবর্ধনা’ দেয়া হবে। হোটেলে দীর্ঘ ৬/৭ ঘন্টা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করেও নেতাকর্মীদের মধ্যে কোন ধরনের আক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি।
সেখানে উপস্থিত সবাই তাদের প্রিয় নেত্রীকে এক ঝলক দেখতে উদগ্রীব ছিলেন। এসময় হোটেলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মন্ট্রিয়লের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দীপক ধর অপু, সদেরা সুজন, ইকবাল কবীর, দীলিপ চৌধুরী, খালিদ হোসেন শাহিন প্রমুখ। হোটেল অমনিতে নেতাকর্মীদের জনস্রোতে নিরাপত্তা কর্মীরা হিমশিম খেতে হচ্ছে।