গ্যাসের পর বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পায়তারা করছে সরকার

    0
    218

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,২২এপ্রিলঃ গ্যাস বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নাসির উদ্দিন এডভোকেট, যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন চৌধুরী, সদস্য সচিব জননেতা মকসুদ হোসেন, আহবায়ক কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান এক যুক্ত বিবৃতিতে গণমত উপেক্ষা করে গ্যাসের পর এবার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সংবাদে গভীর উদ্বেগ-উৎকন্ঠা ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, উৎপাদন ব্যয় বাড়ানোর অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির উদ্যোগ অগ্রহণযোগ্য। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক কমেছিল তখন সরকার বিদ্যুতের দাম কমানো হলো না কেন? গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের বেশী খরচের যে হিসাব তুলে ধরা হইতেছে তা প্রকৃত সত্য নয়।
    নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১০ সালের ১লা মার্চ থেকে ২০১৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকার পাইকারী ও খুচরা পর্যায়ের বিদ্যুতের দাম ৭ বার বৃদ্ধি করেছেন। অন্যদিকে গ্রাহকগণ ঐক্যবদ্ধ না থাকার ফলে বার বার গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রক্রিয়া ক্রমেই বাড়ানো হচ্ছে। অথচ এক শ্রেণীর রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, পীর মাশায়েখ নামধারীরা দেশের এই জনগুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সমস্যা সমাধানকল্পে যেমন-দুর্নীতি, বাস ভাড়া, রেল ভাড়া, দ্রব্যমূল্য, যানজট ও গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে রাজপথে তাদের দৃশ্যমান কোন কর্মসূচি নেই। নির্বাচন, ভাস্কর্য ও দলীয় গোষ্ঠী ইজম ও পীরবাদ সহ ব্যক্তিতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারা খুবই ব্যতিব্যস্ত এই চক্র থেকে জনগণকে হুশিয়ার থাকার আহবান জানিয়ে তারা বলেন, আল্লাহর ওয়াস্তে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশের জ্বালানি তেলের দামের সমন্বয়ে করা গেলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমে আসবে। জনগণ গ্যাস ও বিদ্যুতের আর বাড়তি দাম দিতে অক্ষম।
    নেতৃবৃন্দ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মুষ্টিমেয় দুর্নীতিবাজ গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির জন্য দেশের জনগণের উপর ট্যাক্সের বোঝা কমিয়ে বড় বড় দুর্নীতিবাজদের বিষয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাজস্ব ভান্ডার শক্তিশালী করার আহবান জানান।প্রেস বার্তা