গোলাম আযমের মগবাজারে দাফনঃতবে এখনই হচ্ছে না

    0
    231

    আমারসিলেট24ডটকম,২৪অক্টোবরঃ জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী অথবা নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে অধ্যাপক গোলাম আযম তার জানাযার নামাজ পড়ানোর অছিয়ত করে গেছেন বলে জানিয়েছেন বড় ছেলে আবদুল্লাহ আমান আযমী।
    বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমার বাবা যেহেতু জামায়াতে ইসলামীর নেতা ছিলেন তাই তিনি মৃত্যুর আগে আমাকে বলেছেন দলের প্রধান মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী যেন তার জানাজার নামাজের ইমামতি করেন। তখন আমি তাকে জানিয়েছি, তিনি কারাবন্দী আছেন।

    এরপরে তিনি বলেন, দলের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী যেন তার জানাজার নামাজের ইমামতি করেন। তখন তাকে জানানো হয়, তিনিও কারাবন্দী। এর তিনি আর কোনো কথা বলেননি।দ্বিতীয়ত তিনি আরো বলেছেন, মগবাজারে আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে যেন তাকে সমাহিত করা হয়।

    সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে আবদুল্লাহ আমান আযমী বলেন-বাবার ইচ্ছা পূরণে আমি সরকারের কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই। আশা করি সরকার আমাদের সহযোগিতা করবে।

    নিজামী-সাঈদী দুজনেই কারাগারে আছেন। এক্ষেত্রে গোলাম আযমের জানাজা পড়াতে আইনগত কোনো বাধা আছে কিনা জানতে চাইলে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, আইনগত কোনো বাধা নেই। প্যারোলে মুক্তি দেয়ার বিধান আছে। সরকার চাইলে এই মানবিক আবেদন রাখতে পারেন।তিনি বলেন, আমরা চাইব সরকার এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করবে।

    রাজধানীর মগবাজারে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের মরদেহ ।

    গোলাম আজমের বড় ছেলে আব্দুল্লাহহিল আমান আযমী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মগবাজারে পারিবারিক কবরস্থানে আমার দাদার অর্থাৎ উনার (গোলাম আযমের) বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে।

    তবে গোলাম আযমের মরদেহ এখনই দাফন হচ্ছে না। তার অপর ৫ছেলে বিদেশে রয়েছেন। তারা দেশে ফিরলে গোলাম আযমকে দাফন করা হবে। এজন্য দু’একদিন সময় লাগতে পারে।

    উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ৯০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের মৃত্যুর খবর সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে ।রাত ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত সাংবাদিকের কাছে এই ঘোষণা দেন।

    মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল থেকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।

    ৯২ বছর বয়স্ক গোলাম আযমের শারীরিক অবস্থা অবনতি হবার কারণে বুধবার বিকেল থেকেই হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন তিনি।এরপর বৃহস্হপতিবার রাত নয়টার পর তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

    গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আজমী সাংবাদিকদের বলেছেন, তার বাবার মৃত্যুর অনেক পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা ঘোষণা করেন।তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন, সব ধরণের চেষ্টা চালানোর পরই তারা ঘোষণা দিয়েছেন।

    একাত্তর সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বছরের জুলাই মাসে গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তার অপরাধ মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার যোগ্য হলেও বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে এই দণ্ড দেওয়া হয়।

    এই রায়ের ব্যাপারে তার পক্ষে আপিল বিভাগে আপিল আবেদন রয়েছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।