“গণমাধ্যমকর্মী আইন” প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

    0
    258

    বিভিন্ন ধরণের গণমাধ্যমের কর্মীদের চাকরির নিরাপত্তায় “গণমাধ্যমকর্মী আইন” প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই লক্ষ্যে আইনের একটি খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে মতামতের জন্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ের তথ্য মন্ত্রণালয়ে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎ করতে এলে মন্ত্রী একথা জানান। তিনি বলেছেন, “সম্প্রচার আইন” ও “গণমাধ্যমকর্মী আইন” দুটি মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ে আছে। আগামীকাল (বুধবার) যে অধিবেশন শুরু হচ্ছে, সেই অধিবেশনে উত্থাপন করা সম্ভব না। তবে পরবর্তী অধিবেশনে (বাজেট অধিবেশন) উত্থাপনের জন্য চেষ্টা থাকবে। সংসদে পাসের পর আইনে রূপান্তরিত হলে গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরির নিরাপত্তাসহ সকল সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।”

    গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরির নিশ্চয়তার জন্য উদ্যোগ নেবেন কিনা এ কথা জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “গণমাধ্যমকর্মী আইন যখন হবে তখন চাকরির নিশ্চয়তা থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুর আইনি সুরক্ষা প্রতিষ্ঠিত হবে।”

    হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপন বাইরে চলে যাচ্ছে, চ্যানেলগুলোতে অর্থ সংকট। এ সংকটের কারণে সাংবাদিকদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রে বার্তা বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, এগুলো কোনোটাই হতো না যদি বিদেশে বিজ্ঞাপন চলে না যেতো। টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম ঠিক করার জন্য এ বছরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি সব সিটি করপোরেশনে সিস্টেম ডিজিটাল করে ফেলার আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। সাংবাদিক নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী জানান, এশিয়া সামিট আয়োজনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সহযোগিতা করা হবে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আর একটা সমস্যা নিউ মিডিয়া- ইউটিউব, ফেসবুক, নেটফ্লিক্স, গুগলে আমাদের দেশের অনেক বিজ্ঞাপন চলে যাচ্ছে, যেগুলো থেকে আমরা কোনো ট্যাক্স পাচ্ছি না। এ বিষয়ে আমি আলোচনা করেছি, এগুলো শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য আমরা উদ্যোগ নেবো। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে অবশ্যই আনতে হবে এবং আমরা আনার উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

    তিনি বলেন, ভারতে বিশৃঙ্খলভাবে করতে পারে না। সেখানে ইউটিউব, ফেসবুককে কোম্পানি হিসেবে রেজিস্ট্রার হতে হয়েছে। চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের আপদকালীন ভাতা দেওয়ার জন্য তথ্যমন্ত্রীর সহায়তা চান নেতারা। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে টিওআরের মধ্যে এখন শুধুমাত্র কেউ মারা গেলে, অসুস্থ হলে সেখানে সাহায্য করা যায়, অন্য কোনো কারণে সাহায্য করা যায় না। এরইমধ্যে আমরা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা করেছি টিওআর পরিবর্তন করার জন্য। যাতে সাংবাদিকরা সাহায্য পেতে পারেন। এ সময় ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, জিটিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের দাবির প্রেক্ষিতে ড. হাছান মাহমুদ তথ্যমন্ত্রী জানান, এশিয়া সামিট আয়োজনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।