আজ খৃষ্টানদের ধর্মীয় উৎসব “বড়দিন” পালিত হচ্ছে

    0
    230

    আমারসিলেট24ডটকম,২৫ডিসেম্বরঃ আজ  খৃষ্টান  সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব”বড়দিন”। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যীশুখ্রিস্ট( মুসলিমদের কাছে তিনি হযরত ইছা নবী আঃ নামে পরিচিত) এ দিনে বেথলেহেম শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

    আজ সকাল থেকেই গির্জায় গির্জায় শুরু হয়ে গেছে বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা। পরিবারের শান্তি কামনাকে মূল প্রতিপাদ্য ধরে পালিত হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ও যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন শুভ বড়দিন।

    প্রতি বছরের মতো আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে রাজধানীর গির্জাগুলোতে পালন করা হচ্ছে এ উৎসব।
    এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন গির্জায় শুরু হয় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনা। কাকরাইলের সেন্ট ম্যারিস গির্জায় প্রধান ধর্মীয় গুরু আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও প্রার্থনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। সন্ধ্যার পর থেকেই প্রার্থনায় অংশ নিতে যীশু ভক্তরা গির্জায় আসতে শুরু করেন।

    ভক্তিমূলক গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রার্থনা। এদিকে বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলোকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে, যীশুর জন্মস্থানের আদলে স্থাপন করেছে গোশালা। বড়দিনের উৎসব নির্বিঘ্নে পালনে গির্জাগুলো নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
    এদিকে বড়দিনের উৎসবকে ঘিরে সাজানো হয়েছে রঙিন বাতি, বেলুন, ক্রিসমাস ট্রি আর ফুল দিয়ে বিভিন্ন হোটেল মোটেল সহ দেশের বড় ছোট অনেক  প্রতিষ্ঠান। এছাড়া খ্রিস্টানরা নিজ নিজ বাড়িতেও তৈরি করেছেন ক্রিসমাস ট্রি, সাজিয়েছেন নানা সাজে। আজ বড়দিনের উৎসবের পাশাপাশি চলছে রাতের প্রার্থনা। যীশু খ্রিস্টের আগমনের এ দিনকে ঘিরে চলবে রাতের প্রার্থনা।
    বড়দিনে উৎসব প্রসঙ্গে গির্জার প্রধান পুরোহিত ফাদার এলবার্ট রোজারিও বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারো বিধাতার কাছে দেশ শান্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে। এ উৎসবে রাতে কেক কাটা ও প্রার্থনার পর সকালে আবারো গির্জায় একত্রিত হবেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।

    সকালের প্রার্থনার পর বাড়িতে ফিরে ছোটরা বড়দের আশীর্বাদ নেবে এবং আনন্দে মেতে উঠবে। তবে এবারের প্রার্থনায় বিশেষ করে পরিবারের শান্তি কামনা করা হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী সন্তানসহ পরিবারের সবাই যেন একসঙ্গে মিলে-মিশে শান্তিতে থাকে, সে মিনতি করা হয়েছে।