খাবারের লোভ দেখিয়ে শিশু তানহাকে ধর্ষণের পর হত্যা !

    0
    460
    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩১জুলাই,ডেস্ক নিউজঃ রাজধানীর বাড্ডায় খাবারের লোভ দেখিয়ে শিশু তানহাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন। আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।
    এর আগে রবিবার রাতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় তানহা নামে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় শিপন (৩৫) নামের এ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের একটি টিম। এই সময় শিপনের বাসা থেকে রক্তমাখা তোয়ালেসহ আলামত হিসাবে জব্দ করা হয়।
    সংবাদ সম্মেলন আব্দুল বাতেন বলেন, তানহা তার বাবা-মার সঙ্গে ভাড়া থাকতেন বাড্ডার আদর্শনগরের মিনহাজ সাহেবের বাসায়। রবিবার পার্শ্ববর্তী আমিন সাহেবের বাসায় জাহেদা আক্তার কলি নামে নতুন ভাড়াটিয়া আসে। তানহা জাহেদা আক্তর কলিকে আন্টিকে ডাকে এবং তার বাসায় যায়। গ্রেফতার শিপনের স্ত্রীসহ উক্ত বাসার ভিন্ন একটি রুমে ভাড়া থাকে। শিপন ডাকাতি মামলায় ৫ বছর জেল খেটে আসার পর দিন মজুরের কাজ করে। তার স্ত্রী একজন গার্মেন্টসকর্মী।
    রবিবার বিকাল ৫ টায় শিশু তানহা আন্টির (জাহেদা আক্তার কলি) নতুন বাসা থেকে শিপনের ঘরের সামনে দিয়ে নিজের ঘরে ফিরছিল। শিপন তখন খাবারের লোভ দেখিয়ে বাচ্চাটিকে টানদিয়ে ঘরে নিয়ে যায়। এরপর  শিপন শিশু তানহাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তানহা ও শিপনের পরিহিত কাপড়সহ বিছানা রক্তাক্ত হয়ে যায়।তানহা চিৎকার করলে শিপন তার গলা চেপে হত্যার পর তানহার লাশ বাসার টয়লেটে ফেলে দেয়। পরে শিপন রক্তভেজা চাদর, তার গায়ের গেঞ্জি ও পরনের লুঙ্গি বালতিতে ভিজিয়ে রাখে।
    উল্লেখ্য, রবিবার রাজধানীর আদর্শনগরের সন্ধ্যায় বাড্ডার আদর্শনগরী এলাকার ৩৬০ নম্বর বাসা থেকে একটি টিনসেড বাসা থেকে বাথরুম থেকে তানহা (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত তানহা জামালপুর জেলার প্রাইভেটকার চালক মেহেদীর মেয়ে। ওই বাসাতেই ভাড়া থাকতেন শিশু তানহার পরিবার।সুত্রঃইত্তেফাক।