আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১৬মে,হৃদয় দাশ শুভ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কোন কাজ নেই।ঘরেও মন বসে না। তাই পঁচা ধান কাটতে আইছি। যা পাব তাতেই সন্তুষ্ট। হাওরের তীরবর্তী অংশের ডুবে থাকা আধপাকা পচা ধানেই এখন এমন স্বপ্ন চাষীদের। জেলার হাকালুকি,কাউয়াদিঘি ও হাইল হাওরের সর্বস্বান্ত কৃষক এখন পঁচা ধান সংগ্রহে ব্যস্ত।
ক’দিন থেকে পানি কমেছে হাওরের তীরবর্তী কিছু এলাকায়।এতে অগ্রভাগ ভেসে উঠেছে মরা পঁচা বোরো ধানের। এমন অবস্থায় হাওর পাড়ের সর্বস্বান্ত কর্মহীন চাষী ঘরে বসে অলস সময় কাটাতে চান না। তাই নেশার টানে এখন তারা ছুটছেন ওই ধান সংগ্রহ করতে।
কৃষকরা নৌকা যোগে বুক পানি কিংবা কোমর পানি থেকে সংগ্রহ করছেন ধান। সারা দিন রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ঘরে আনা ধান মাড়াই ও অনান্য প্রক্রিয়া শেষে প্রাপ্ত ধান দেখে শুধুই দু’চোখের জল ফেলছেন।
তারপরও ঘরে না বসে ডুবে থাকা পচে যাওয়া বোরো ধান সংগ্রহে ব্যস্ত হাওর তীরের কয়েকটি এলাকার চাষীরা। মনসান্তনা এমন করে যদি কিছু ধানও ঘরে তুলতে পারেন তাহলে ‘ঊনা উপাস’ (খালি পেটে) থাকার ছেয়ে দু’মুঠো ভাত পরিবার পরিজনের মুখে দিতে পারবেন।
সকলেই শোনান শুধু আশার ফুলঝুরি। কিন্তু উদার মনে প্রকৃত অর্থে সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেন না। যারাই আসেন অধিকাংশ লোক দেখানো জনদরদী সেজে নিজেদের ফাঁয়দা লুটতে।
গেল প্রায় মাস দিন থেকে এমনটিই আচঁ করেছেন তারা।
এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর ও কাউয়াদিঘি আর হাইলহাওরে অকাল বন্যার এক মাস অতিবাহিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাওরের শতভাগ বোরো ধান। একমাস পরও যদি কিছু ধান পাওয়া যায় এই আশায় পচা ধান সংগ্রহে প্রাণপণ প্রচেষ্ঠা চলছে হাওর তীরের কৃষকের।