কোলকাতা-খুলনা রেল “বন্ধন এক্সপ্রেস”র যাত্রা শুরু

    0
    446

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১০নভেম্বর,বেনাপোল থেকে এম ওসমানঃ অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনা ও আলোচনা-সমালোচনার অবসান ঘটিয়ে সাড়ে ৪ যুগ পরে সরাসরি কোলকাতা-খুলনা রুটে রেল চলাচল শুরু হলো। সকাল সাড়ে ১১ টার সময় কোলকাতা থেকে সে দেশের ২০ জন প্রতিনিধিকে নিয়ে বেনাপোল রেল ষ্টেশনে দুপুর ১.৩০ টার সময় এসে পৌঁছায়। বেনাপোল রেলষ্টেশনে ইমিগ্রেশন কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর ২ টার সময় খুলনার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায় ট্রেনটি।

    বৃহস্পতিবার বেনাপোল রেলষ্টেশনে “বন্ধন এক্সপ্রেস” প্রবেশ করলে ভারতীয় অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার, বেনাপোল কাষ্টমস কমিশনার শওকাত হোসেন, ডেপুটি কমিশনার মারফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার নূরুল বাসিদ, যশোর জেলা পুলিশের এসপি আনিসুর রহমান, সার্কেল এ এসপি মেহেদী ইমরান সিদ্দিকি, কাষ্টমস সুপার তাহমিদ হোসেন, গোলাম মর্তুজা, বেনাপোল পোর্ট থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) অপূর্ব হাসান, ইমিগ্রেশন ওসি ওমর শরীফ, বেনাপোল রেলষ্টেশন মাষ্টার সাইদুজ্জামান প্রমুখ।

    ভারতীয় ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সিনিয়ার সেকশন ইঞ্জিনিয়ার দেবশংকর বসু ও স্বপন কুমার দে। ভারতীয় প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন বাংলাদেশের জন্য, ট্রাফিক পরিদর্শক অশোক কুমার বিশ্বাস, গার্ড কোলকাতা সুবির সরকার, গার্ড রানাঘাট জগন্নাথ দত্ত, চালক প্রদিপ কুমার, চালক উত্তম কুমার, চালক সত্যজিত চক্রবর্তী, চালক রাজেশ চন্দ্র বিশ^াস লকো, ইন্সপেক্টর প্রনব কুমার দাস, এসিএফ গৌতম হাজরা এসিএফ অনিন্দ রায় প্রমুখ।

    এর আগে গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশের রেলওয়ে সিসিএম মিহির কান্তি গুহ’র নেতৃত্বে ৮ সদস্যর দল ভারতে সে দেশের প্রতিনিধি দল সহ ট্রেনটিকে আনতে যায়।

    বেনাপোল রেলষ্টেশনে বাংলাদেশ রেলমন্ত্রীর এপিএস জসীম উদ্দিন বলেন, ৫২ বছর পর কোলকাতা- খুলনা সরাসরি রেল যোগাযোগে ভারতের সাথে বন্ধুত্ব, সৌহাদর্, ভ্রাতৃত্ব এবং সম্পর্কের উন্নতি হবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা মানুষের সহজ হওয়া প্রয়োজন। খুলনা থেকে কোলকাতা পৌঁছাতে মাত্র ৪ ঘন্টা সময় লাগবে। এতে করে ব্যবসা বানিজ্যসহ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে উভয় রাষ্ট্রের সফলতা আসবে।

    ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সিনিয়ার সেকশন ইঞ্জিনিয়ার দেবশংকর বসু বলেন, আমাদের বাংলাদেশে রেল নিয়ে এসে খুব ভালো লাগছে। বাংলাদেশ ভারতের পাশ^বর্তী বন্ধু প্রতিম দেশ। রেল চলাচলের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক সহ সকল দিক এগিয়ে যাবে এবং ভারতের পশ্চিম বঙ্গের প্রান কেন্দ্র কোলকাতা শহরে মাত্র ৪ ঘন্টার ভিতর পৌঁছে যাবে। একই ভাবে ভারতের যাত্রীও খুলনায় পৌঁছে যাবে। তিনি আরো বলেন, আজ উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষামূলক রেলের শুভ উদ্বেধন করার জন্য বিলম্বে কোলকাতা থেকে রেলটি ছেড়ে আসে। এরপর আগামী ১৬ নভেম্বর রেলটি সকাল ৭ টায় কোলকাতা থেকে ছেড়ে বেলা ১২ টায় খুলনায় পৌঁছাবে আর খুলনা থেকে দুপুর ২টায় ছেড়ে কোলকাতায় যাবে।

    বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি ওমর শরীফ বলেন, দুই দেশের যোগাযোগ ও ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটবে। কিন্তু মাত্র সপ্তাহে ১ দিনের পরিবর্তে ৩ দিন রেল চলাচল করলে মানুষের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পেত।