কৃষি পদক প্রাপ্ত সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিনকে গণসংবর্ধনা

    0
    235

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১০সেপ্টেম্বর,এম ওসমান,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিনকে গণসংবর্ধনা দিয়েছেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। শনিবার বিকালে শার্শা উপজেলা স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সম্প্রতি শেখ আফিল উদ্দিন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকে ভূষিত হওয়ায় প্রিয় জনপ্রতিনিধির প্রতি বুকভরা ভালোবাসা উজাড় করে দিতেই এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

    সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য (ভিসি) প্রফেসর আব্দুস ছাত্তার, সরকারি এম এম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম ইবাদুল হক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদ।

    অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু।

    মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন ,অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে ধারন ও লালন করতে হবে। কৃষি নির্ভর বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিল শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে তার কর্মীরা তা বাস্তবায়ন করেছে। পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতনে নির্যাতিতরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। আজ সেই সড়ক উন্নয়নের মহাসড়কে প্রধান মন্ত্রীর নের্তৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা মৌলবাদ জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে  উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

    শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু জানান, ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠনে কৃষি গবেষণা এবং কৃষি সম্প্রসারণসহ দেশের সামগ্রিক কৃষি খাতে বিশেষ অবদান রয়েছে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি। উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন, বিগত দিনে সোনামুখি বিলে জলাবদ্ধতার কারণে সেখানে ফসল আবাদ করতে পারতেন না চাষিরা। ২০১১ সালে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি নিজস্ব উদ্যোগে আমড়াখালী খাল খননের পর সোনামুখি বিলে এখন আর বৃষ্টি হলেই পানি জমে না। যে কারণে সেখানকার জমিতে ধান ও পাটের আবাদ করছেন চাষিরা। এছাড়া মৎস্য চাষেও তার বিশেষ অবদান রয়েছে। এক্ষেত্রেও শেখ আফিল উদ্দিন এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।

    সংবর্ধনা ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের মাঝে ছিল উৎসাহ উদ্দীপনা। উপজেলা জুড়ে তোরণ, ব্যানার, বিলবোর্ড স্থাপনের পাশাপাশি নানা রঙের আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। বাদ্য বাজনার সাথে বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচারণাও চালানো হয়েছে।

    শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, আজ তাদের যোগ্য ও প্রাণপ্রিয় নেতার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের দিন। ৩৫ থেকে ৪০ হাজার মানুষ উপস্থিতি হয়ে শেখ আফিল উদ্দিন এমপিকে সংবর্ধনা দেয়া হলো। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনে তিনি মানুষকে নানাভাবে উপকৃত করেছেন। কিন্তু জনপ্রিয় এ সংসদ সদস্যকে আমরা কিছুই দিতে পারিনি। তাই যোগ্য নেতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত করার জন্যই গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, আলেয়া ফেরদৌস, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, ইউপি চেয়ারম্যান সোহারাব হোসেন, হোসেন আলী, আবুল কালাম আজাদ, বজলুর রহমান, আব্দুর রশিদ, আলহাজ্ব আয়নাল হক, ইলিয়াছ কবির বকুল, হাসান ফিরোজ আহমেদ টিঙ্কু, হাদিউজ্জামান প্রমুখ।

    গণসংবর্ধনার অনুষ্ঠানটি যথাযথভাবে সফল করার লক্ষ্যে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে পৌরসভাসহ মোট ১১টি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে অংশ নেয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে উপজেলা ব্যাপী সাজানো হয়েছিল অপরূপ সাজে। সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে বিরাজ করছিল উৎসবের আমেজ।