কৃষকদের পূন:বার্সন-নদী খননসহ ৫দফা দাবীতে কমলগঞ্জে

    0
    215

    “বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রেরণ”

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১১এপ্রিল,নিজস্ব প্রতিনিধি:  সাম্প্রতিক সময়ে অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কেওলার হাওরসহ ব্যাপক এলাকার বোরো ফসল বিনষ্ট হওয়ায় কৃষকদের পূন:র্বাসন, নদী খননসহ ৫ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কমলগঞ্জ ও রাজনগর উপজেলার শতাধিক কৃষক এই স্মারকলিপি প্রেরণ করেন।

    পতনউষার ইউনিয়নের সম্মিলিত নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক তোয়াবুর রহমান, কৃষক নেতা ও সমাজ সেবক আব্দুল হান্নান চিনু, কৃষক মফিজ মিয়া, মসুদ মিয়া, কনু মিয়া, আনোয়ার খান সহ শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের কার্যায়ে উপস্থিত হয়ে ক্ষতি পূরণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মারকলিপি প্রদান করেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলেন, বন্যা কবলিত এবং উপজেলার নি¤œা ল থাকায় আমরা সাধারণত: বোরো চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু কয়েকদিনের টানা বর্ষনের ফলে অতিসম্প্রতি ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের দুটি স্থানে নদীভাঙ্গন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কমলগঞ্জে অকাল বন্যার সৃষ্টি হয়।

    বন্যার পানিতে কমলগঞ্জ উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী রাজনগর উপজেলার একাংশের বোরো ধান ও সবজি ক্ষেত সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট হয়। ধলাই নদীসহ উজানের সমস্ত পানির শেষ ঠিকানা কেওলার হাওর। নিম্নাঞ্চলের কেওলার হাওর এলাকা দিয়ে দ্রুত পানি নিস্কাষিত না হওয়ায় বিস্তীর্ন এলাকা জুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি নিস্কাশনের একমাত্র খাল লাঘাটা নদীতে অসংখ্য বাঁক ও ঝোপজঙ্গলে ভরপুর থাকায় দ্রুত পানি নিস্কাষিত হতে পারছে না। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন উপজেলার পতনঊষার, শমশেরনগর ও মুন্সীবাজার ইউনিয়নসহ নিম্নাঞ্চল এলাকার কৃষক সাধারনের বোরো ধান। কৃষকদের অনেকেই ঋনগ্রস্ত হয়ে ও দোকান বাকি করে বোরো চাষাবাদ ও সবজি উৎপাদন করেন। বন্যা ও ঢলের কারনে হাড় ভাঙা পরিশ্রমের বোরো ফসল ও সবজি ক্ষেত বিনষ্ট হওয়ায় তারা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বরাবরে প্রেরিত স্মারকলিপিতে ধলাই ও লাঘাটা নদীর বাঁধ মেরামত, খনন ও দ্রুত সংস্কার করা, অতিবৃষ্টির সময় মনু নদীর স্লুইসগেট খুলে দেওয়া, বোরো চাষাবাদকালীন উজান এলাকায় পানির ব্যবস্থা করে দেওয়া, বন্যা দুর্গত এলাকা হিসাবে ঘোষণা, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের এক বছরের পুন:বার্সনের ব্যবস্থা, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সুবিধা প্রদান, কৃষি ভতূর্কির সুযোগ প্রদান, কৃষক পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু, সুদমুক্ত ঋন প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্ত সকল কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার, বীজ বিতরণ করা।