কুশিয়ারা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনঃনদী ভাংঙ্গনের আশংকা

    0
    264

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪মার্চ,মতিউর রহমান মুন্নাহবিগঞ্জের নবীগঞ্জের বিবিয়ানা বিদ্যুৎ প্লান্ট সংলগ্ন কুশিয়ারা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক সরকারের অনুমতি না নিয়েই লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাকিঁ দিয়ে অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলন করছে। ফলে নদী ভাংঙ্গনের আশংখ্যা করছেন এলাকাবাসী। এতে হুমকীর মূখে রয়েছে গ্যাস কুপ ও বিদ্যুৎ প্লান্ট।

    এদিকে সম্প্রতি দীঘলবাক এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ড্রেজার মেশিন, প্রচুর পরিমান পাইপ এবং প্রায় ৫০ লাখ ঘনফুট বালু জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে নিলামের মাধ্যমে ওই বালুসহ জব্দ করা মালামাল বিক্রয় করা হয়। প্রায় ৫ কোটি টাকার বালু ও মালামাল নাম মাত্র ২৮ লাখ ২০ হাজার টাকায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সুজাত চৌধুরী ক্রয় করেন।

    এই ভ্রাম্যমান আদালতের খবরে দীর্ঘদিন ধরে আউশকান্দি ইউনিয়নের পারকুল গ্রামে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলনকারী স্থানীয় প্রভাবশালীরা বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তবে এখনও ওই এলাকায় দুলাল মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন মাঠে বিপুল পরিমান বালু টেক করা রয়েছে। অবাধে এই বালু উত্তোলনের ফলে এই হেমন্তের মৌসুমে বড় ধরনের নদী ভাংঙ্গনের আশংকায় রয়েছেন এলাকাবাসী। তাছাড়া নদী ভাংঙ্গন দেখা দিলে হুমকীর মুখে পড়তে পারে এশিয়ার বৃহত্তম গ্যাস কুপ বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড ও বিবিয়ানা পাওয়ার স্টেশন। এ ঘটনায় এলাকার সাধারন মানুষ এর প্রতিকার করতে না পারলেও তাদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

    অপরদিকে রয়েলিটি না দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে সরকারও হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। সেই সুযোগে কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করে অনেকেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। এর নেপত্যে রয়েছে কয়েকটি প্রভাবশালী স্থানীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্টান।

    স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এই ঠিকাদারী প্রতিষ্টানগুলো সরকারের কোন অনুমতি কিংবা রয়েলিটি না নিয়েই প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করছে। পরে এই বালু বিবিয়ানা পাওয়ার স্টেশন ও গ্যাস ফিল্ডে দেয়া হচ্ছে। অবশিষ্ট বালু বিভিন্ন স্থানে টেক করে রাখা হয়েছে। এভাবে পরিকল্পাবিহীনভাবে বালু উত্তোলনের কারনে নদীর তীরভর্তি এলাকা ভাঙ্গনের সম্মূখীন হয়ে পড়েছে। ইতিপূর্বে কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে নবীগঞ্জের দীঘলবাক হাই স্কুলসহ ওই এলাকার মসজিদ, মন্দির মাদ্রাসা ও অসংখ্য বাড়ি ঘর এবং সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার পেচির বাজার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যার কোন অস্থিত্ত্ব আজো খুজেঁ পাওয়া যায়নি। এছাড়া অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের কারণে নদীর ভারসাম্য হারিয়ে যেতে বসেছে।