কাশ্মীরে বিশাল বিক্ষোভ,পেলেটগান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার

    0
    236

    “ভারতীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহতের সংখ্যা জানানো হয়নি।”

     

    জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সম্বলিত ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রয়েছে বলে সরকার পক্ষ থেকে যে দাবি করা হচ্ছে তার বিপরীত ছবি প্রকাশ পেয়েছে গতকাল (শুক্রবার) জুমা নামাজ শেষে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে।

    শুক্রবার প্রতিবাদী জনতার বিক্ষোভ সামাল দিতে নিরাপত্তা বাহিনী এ সময় পেলেটগান ব্যবহার ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করলে বেশ কয়েকজন আহত হন। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহতের সংখ্যা জানানো হয়নি।

    এদিন শ্রীনগরের সৌরা এলাকায় জুমা নামাজ শেষে কয়েক হাজার মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ বিক্ষোভে শামিল হন। বিবিসি সূত্রে প্রকাশ, এসময় মানুষজন স্বাধীনতাপন্থী স্লোগান দেন ও বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। নিরাপত্তা বাহিনী এক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের বাধা দিলে গোলযোগ সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদী জনতা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। কমপক্ষে ঘণ্টা দুয়েক ওই সংঘর্ষ চলে।

    কাশ্মীরে কারফিউ অব্যাহত

    হিন্দি গণমাধ্যম ‘জাগরণ’ সূত্রে প্রকাশ, শ্রীনগরের সৌরা, ছন্নপোরা, মাছুয়া, নওগাম, ডাউন-টাউনের বিভিন্ন অংশে ও দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপোরে বিক্ষিপ্ত সহিংস ঘটনা ঘটে। এদিন যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শ্রীনগরে জাতিসঙ্ঘের দফতরের উদ্দেশ্যে মিছিল করে যাওয়ার ডাক দেয়া হয়। নিরাপত্তা বাহিনী জাতিসঙ্ঘের দফতরের দিকে যাওয়ার সমস্ত সড়ক আগেভাগে বন্ধ করে দিয়ে ব্যাপক নিরাপত্তার কড়াকড়ি করে। বিভিন্ন সড়কে কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে ‘সিল’ করে দেয়া হয়। এছাড়া গোটা এলাকায় আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হলে অবশেষে মিছিল জাতিসঙ্ঘের দফতরের দিকে যেতে পারেনি।

    সেখানকার বড় বড় মসজিদগুলোতে তৃতীয় সপ্তাহ ধরে জুমা নামাজের জন্য বড় জমায়েতের অনুমতি নেই। অপেক্ষাকৃত ছোট মসজিদে অবশ্য জুমা নামাজে কোনও বাধা নেই। যদিও কোনও মসজিদে মাইক ব্যবহারও করতে দেয়া হচ্ছে না।

    সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বলছে, চলতি মাসের আগস্টের ৫ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত শ্রীনগরের প্রধান দুই হাসপাতাল শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস ও শ্রী মহারাজা হরি সিং হাসপাতালে কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং ছররা বুলেটে আহত ১৫২ জনের চিকিৎসা করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই কিশোর। সরকারের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ ও অবরোধের পরে কাশ্মীরে কোনও বিক্ষোভকারীর প্রাণহানি ঘটেনি বলে দাবি করা হলেও সংবাদসংস্থা এএফপি অবশ্য ওই সময়ের মধ্যে কাঁদানে গ্যাসের বিষক্রিয়া বা তার শেলের আঘাতে তিন জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।পার্সটুডে