কালনা সেতুর দরপত্র গ্রহনের তারিখ ১মাস বৃদ্ধি

    0
    319

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২০নভেম্বর,নড়াইল প্রতিনিধিঃএক মাস বৃদ্ধি করা হলো দেশের দক্ষিন-পশ্চিমা লের গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহৎ মধুমতি নদীর ওপর নড়াইল-গোপালগঞ্জের কালনা সেতুর দরপত্র গ্রহনের শেষ তারিখ । ২০ নভেম্বর সোমবার দরপত্র গ্রহনের শেষ দিন ছিল। কিন্ত ঠিদারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও এক মাস দরপত্র গ্রহনের দিন বাড়ানো হয়েছে।
    সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি একনেক সভায় ২শ’ ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নড়াইল-গোপালগঞ্জ জেলার সিমান্তবতী মধুমতি নদীর ওপর কালনা ঘাটে চার লেন বিশিষ্ট কালনা সেতু প্রকল্পটি অনুমোদিত হয় এবং এর এক বছর পর ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্থর উদ্বোধন করেন। কিন্তু এর পৌনে তিন বছর পর জাইকার সহায়তায় নতুন নকশায় এবং বৃহৎ বাজেটে ছয় লেন বিশিষ্ট এ সেতু নির্মিত হচ্ছে।
    সেতু বাস্তবায়নকারী প্রকল্প ‘ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট বাংলাদেশ’-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুমন সিংহ জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর সেতুর দরপত্র আহবান করা হয়। সোমবার (২০ নভেম্বর) দরপত্র গ্রহনের শেষ দিন থাকলেও ঠিকাদারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ১৮ ডিসেম্বর দরপত্র গ্রহনের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে এবং একই দিন দরপত্র উন্মুক্ত করা হবে। তিনি সেতুর প্রাক্কলিত ব্যয় সম্পর্কে বলেন, সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২শ কোটি টাকা। তবে এ ব্যয় বাড়তে পারে।
    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মধুমতির নদীর উপর কালনা সেতু নির্মিত হলে বেনাপোল স্থল বন্দর-যশোর-নড়াইল-পদ্মা সেতু-ঢাকা-সিলেট-তামাবিল সড়কের মাধ্যমে ‘আ লিক যোগাযোগ’ স্থাপিত হবে। ৬ লেন বিশিষ্ট কালনা সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬শ’ ৯০ মিটার এবং প্রস্থ ২৮ দশমিক ৫ মিটার। এছাড়া এ সেতুর সাথে নড়াইলের কালনা এবং গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া দুই অংশে ৪ দশমিক ৩০ কিঃমিঃ অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হবে । এজন্য ৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে এ বৃহৎ সেতু নির্মিত হবে। এ সেতু নির্মিত হলে খুলনা বিভাগের সাথে ঢাকাসহ অন্যান্য অ লের যাতায়াতের ক্ষেত্রে জ্বালানি খরচ যেমন কম হবে ,তেমনি কৃষি পরিবহন , বিপনণ, যাতায়াতও সহজ হবে। চাঙ্গা হবে এ অ লের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। এর সুফল পাবে খুলনা বিভাগ ও আশেপাশের অন্তত ২০টি জেলার কৃষক,ব্যবসায়ী এবং সর্ব সাধারন।
    নড়াইল বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী জহিরুল হক জানান, এ সেতু নির্মাান হলে নড়াইল থেকে ঢাকার দূরত্ব হবে ১২৭ কিঃমিঃ, বেনাপোল-ভায়া কালনা-ঢাকা হবে ২০১ কিঃমিঃ, যশোর-ঢাকা ১৬১ কিঃমিঃ, খুলনা-বসুন্দিয়া-কালনা-ঢাকা ১৯০ কিঃমিঃ। ফলে ঢাকার সাথে দূরত্ব কমবে প্রায় ২০০ কিলোমিটার।