জামায়াতে র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় অপেক্ষমাণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ । যেকোনো দিন রায় হতে পারে।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২-এ আসামিপক্ষের দেওয়া যুক্তির খণ্ডন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সৈয়দ হায়দার আলী ও তুরিন আফরোজ যুক্তি খণ্ডন করেন। গতকাল সোমবার আসামিপক্ষের যুক্ত উপস্থাপন শেষ হয়। আজকের যুক্তি খণ্ডন শেষে ট্রাইব্যুনাল উভয়পক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে একই ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জামায়াতের সাবেক সদস্য আবুল কালাম আজাদকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এটি হবে এই ট্রাইব্যুনালের তৃতীয় রায়।
এ মামলায় ২৪ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করে। আসামিপক্ষ ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তি উপস্থাপন করে।
এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষে ১৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল আসামিপক্ষের এক হাজার ৩৫৪ জন সাক্ষীর তালিকা থেকে প্রথমে সাফাই সাক্ষীর সংখ্যা চারজনে সীমাবদ্ধ করে দেন। পরে আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাফাই সাক্ষী আরেকজন বাড়ানো হয়। আসামিপক্ষের সেই পাঁচজনই সাফাই সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর তালিকায় রয়েছে কামারুজ্জামানের ছেলে মোহাম্মদ হাসান ইকবাল এবং তাঁর বড় ভাই কফিল উদ্দিন।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুলাই কামারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই বছরের ২ অক্টোবর তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১-এ তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই বছরের ১৬ এপ্রিল মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগে গত বছরের ৪ জুন এ ট্রাইব্যুনালে কামারুজ্জামানের বিচার শুরু হয়। ২ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। আসামিপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় ৬ মার্চ।
গত বছরের ৪ জুন তাঁর বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ গঠন করা হয়।