কানাইঘাটে রক্তাক্ত তরুণী উদ্ধার

    0
    260

    আমার সিলেট  24 ডটকম,১৪নভেম্বর,জসিম উদ্দিন কানাইঘাট উপজেলার নন্দিরাই গ্রামের পশ্চিম জামে মসজিদে গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের উত্তর পাশ থেকে ১৮ বছরের এক তরুণীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, । আজ ভোর ৬টার দিকে মসজিদের পাশে এক তরুণীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মৃত ভেবে নন্দিরাই পশ্চিম জামে মসজিদে মক্তবে আসা শিশুরা সুর চিৎকার দেয়। শিশুদের আত্মচিৎকারে এক পর্যায়ে আশপাশের লোকজন
    এগিয়ে এসে মেয়েটিকে মৃত ভেবে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে থানার এস.আই মোস্তফার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন। প্রাথমিক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানায়তার নাম আফরোজা বেগম, বাড়ী ঢাকায়। হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে গিয়ে জানা যায়, মেয়েটিকে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছিল তখন তার দু’পা দিয়ে প্রচুর জমাট বাধা রক্ত ঝরছিল। রক্ত স্বল্পতার কারনে সিলেট ওমেক হাসপাতালের ওসিসি ইউনিটে মেয়েটিকে তাৎণিক প্রেরণ করেন। ইমার্জেন্সির কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক জানান আমরা মেয়েটিকে ড্রেসিং করতে চেয়েছিলাম।
    কিন্তু মেয়েটির বাধার কারনে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দিতে পারি নি। তাকে ধর্ষণ করা হতে পারে বলে তাদের ধারনা। এক পর্যায়ে থানায় বেলা ১টায় উপস্থিত হয়ে উপজেলার বানীগ্রাম ইউপির বাউরভাগ পূর্ব গ্রামের জনৈক সুলেমান মিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল চৌধুরীকে জানান উদ্ধার হওয়া মেয়েটি তার ভাতিজি। নাম মিনা বেগম (১৮), তার পিতা- সৌদি প্রবাসী নিজাম উদ্দিন। মিনা বেগম ২ বছরধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভোগছিল। ডাক্তার ও মোল্লাকী চিকিৎসা করানোর পরও সে সুস্থ না হওয়ায় নিজ বাড়ীর একটি কক্ষে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। মিনা বেগমের উপরে জীন-ভুতের আসর রয়েছে বলে চাচা সুলেমান জানান। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সে মায়ের সাথে একটি কক্ষে রাত্রি যাপনের একপর্যায়ে বের হয়ে যায়। তবে অনেকের ধারনা মেয়েটি বাড়ী থেকে বের হওয়ার পর কোন নরপশুর দল তার ইজ্জত হরণ করায় পর রক্ত ক্ষরণ ঘটলে তাকে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ
    আব্দুল আউয়াল চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি ,কানাইঘাট নিউজকে জানান স্থানীয় লোকজন খবর দেওয়ার পর আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে দ্রুত প্রেরণ করি। তার পা’দিয়ে রক্ত ঝরছিল। জামাকাপড়ে রক্তের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসার রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।