কানাইঘাটে প্রতীক পেয়ে কোমর বেঁধে নেমেছেন প্রার্থীরা

    0
    218

    আমারসিলেট24ডটকম,০৭মার্চ,বদরুলঃ চতুর্থ দফা ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৩ মার্চ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শুক্রবার জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যলয় থেকে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতীক পাওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারনায় মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রার্থীরা। মাইকিংয়ে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের গুণকীর্তন গেয়ে জমজমাট প্রচারনা। ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ সর্মথিত চারজন এবং বিএনপি সমর্থিত একজন প্রার্থী দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে গত বৃহস্পতি বার তাদের মনোয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। নিবার্চনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ সমর্থিত একক প্রার্থী হিসাবে নিজাম উদ্দিন (ঘোড়া), ১৯দলীয় জোট সমর্থিত বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশিক উদ্দিন চৌধূরী  (মোটর সাইকেল), জাপা সমর্থিত মোঃ শাহাবউদ্দিন (দোয়াত-কলম) এবং নাগরিক কমিটির ব্যানারে জামায়াত নেতা আব্দুর রহিম (আনারস) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন। তবে উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, আব্দুর রহিম তাদের দলীয় কোন সমর্থিত প্রার্থী নয়।  জোটের প্রার্থী হিসেবে আশিক উদ্দিন চৌধুরীকে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা সমর্থন দিয়েছে এবং মাঠে তার পক্ষে আমরা কাজ করবো।

    অপরদিকে আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের গোপন ভোটে আ’লীগের একক প্রার্থী হিসেবে নিজাম উদ্দিন আল মিজানকে মনোনিত করা হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে এ নিয়ে দিধাদ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। গোপন ভোটে মনোনয়ন পত্র দাখিলকারী দলের ত্যাগী ও পরিক্ষীত নেতারা কালো টাকার কাছে পরাজিত হয়েছেন বলে আ’লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করেন। বর্তমান চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী ১৯দলীয় জোটের সমর্থন পেলেও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে সুবিধাভোগী উল্লেখ করে নির্বাচনী প্রচারণায় এখনো মাঠে নামেননি। দলীয় নেতাকর্মীদের মান অভিমান মিটাতে শীঘ্রই কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে নানা শ্রেণি-পেশার ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়; চেয়ারম্যান পদে বিএনপি, আওয়ামলীগ ও জাপা সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে। জাপা সমর্থিত প্রার্থী শাহাব উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একসময়ে তুকুড় ছাত্রনেতা ছিলেন। কানাইঘাটের বিভিন্ন উন্নয়নের পিছনে তার প্রচুর অবদান রয়েছে। বিগত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৬ হাজারের অধিক ভোট পান। এবার জাপা সমর্থিত প্রার্থী হওয়ায় তিনি আলোচনায় উঠে এসেছেন।

    এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ সমর্থিত প্রার্থী হয়ে পৌর আ’লীগের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন (জাহাজ), বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা বদরুজ্জামান ইকবাল (টিয়া পাখি), আ’লীগ সমর্থিত যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম রানা (মাইক), বিএনপি নেতা আজিজুল আম্বিয়া (টিউবওয়েল), জমিয়ত নেতা মাওঃ আলিম উদ্দিন (চশমা) ও হেফাজত নেতা মাওঃ আব্দুল করিম তারেক (তালা) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাতী রানী দাস (হাঁস), রুবি রানী চন্দ (কলস), মরিয়ম বেগম (পদ্ম ফুল), জাহানারা বেগম (বৈদুতিক পাখা) ও রোকশানা বেগম (ফুটবল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে লড়াই করবেন।