কাজ না করেই ৫ প্রকল্পের ৩৮লাখ টাকা উত্তোলন

    0
    264

    “টেন্ডার হওয়া এডিপি খাতের টাকাগুলো উন্নয়নের স্বার্থে তুলে রাখা হয়,উপসহকারী প্রকৌশলী”

     

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় কাজ না করেই ৫টি প্রকল্পের ৩৮লাখ টাকার টাকা উত্তোলন করে রেখেছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। উন্নয়ন কাজ শুরু কিংবা শেষ নি। সেখানে কাজ না করেই কেন এত টাকা উত্তোলন করা হল তা কারোই বোধগম্ম হচ্ছে না। নাকি এই টাকা গুলো কৌশলে নিজেদের পকেটে ভরার গোপন সন্ধি রয়েছে এমনটাই মনে করছেন উপজেলার সচেতন মহল। ফলে সবার মাঝে চরম ক্ষোব বিরাজ করছে।
    প্রকল্প গুলো হলো-তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের টিনশেড ভবন মেরামত রাজস্ব খাতের ৫লাখ ৭০হাজার টাকা,আব্দুজ জহুর চত্বর থেকে সোনালী ব্যাংক পর্যন্ত রাজস্ব খাতের ২০লাখ ৯৯হাজার টাকা,তাহিরপুর থেকে কাউকান্দি পর্যন্ত রাস্তায় কালভার্ট নির্মাণ রাজস্ব খাতের ৪লাখ ৮৪হাজার টাকা,উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি মেরামত ৪লাখ ৬২হাজার টাকা,খলাহাটি ব্রিজের পশ্চিমে ঘাটলা নির্মাণে এডিপি খাতের ২লাখ ৮৫হাজার টাকা। মোট ৩৮লাখ ৬৪হাজার টাকা।

    এই সব প্রকল্প গুলো সরজমিনে দেখা যায়,উন্নয়নমূলক ৫টি প্রকল্পের মধ্যে আব্দুজ জহুর চত্বর থেকে সোনালী ব্যাংক পর্যন্ত রাস্তা,তাহিরপুর থেকে কাউকান্দি পর্যন্ত রাস্তায় কালভার্ট নির্মাণ ও খলাহাটি ব্রিজের পশ্চিমে ঘাটলা নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় পানি থাকার কারণে কাজ করানো সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে,তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের টিনশেড ভবন মেরামত ও তাহিরপুর উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি মেরামত প্রকল্পটিকে কাজ করার যথেষ্ট সময় সুযোগ থাকার পরও কাজ গুলো করা হয় নি কিন্ত বিল উত্তোলন করা হয়েছে।

    এবিষয়ে তাহিরপুর এলজিইডি অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন,টেন্ডার হওয়া রাজস্ব খাতের টাকা উন্নয়ন খাতে চলে যাবে। সেক্ষেত্রে টেন্ডার হওয়া এডিপি খাতের টাকাগুলো উন্নয়নের স্বার্থে তুলে রাখা হয়।

    তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুল্লাহ মিয়া বলেন,টেন্ডার হওয়া স্থান গুলোতে পানি থাকায় কাজ করানো সম্ভব হচ্ছে না। সেজন্য ৩০জুনের মধ্যে বিলের টাকা তুলে রাখতে হবে।