কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন জৈন্তাপুর থানার ওসি

    0
    338
    রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ ছবির একজন জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি খান মোঃ মাইনুল জাকির। অন্যজন জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহআলম চৌধুরী তোফায়েল। ছবির মেয়েটির তার বাড়ি উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নে। ছবির মেয়েটির নির্মম একটি ইতিহাস রয়েছে, যা আমাদের সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। (দয়াকরে বিষয়টি কি কেহ জানতে চাইবেন না, আর জানতে চাইলেও বলতে পারবো না)। কারন মেয়েটি অত্যন্ত অসহায় দরিদ্র পরিবারের জন্ম গ্রহন করেছে। চরম দারিদ্রতার মধ্যেও মেয়েটি বিগত এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করে উত্তীর্ণ হয়। দারিদ্রতার জন্য তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ে। তার পড়া লেখা পড়ার দায়িত্বভার গ্রহন করেন জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ মইনুল জাকির৷ যেমন কথা দিলেন তেমনি তিনি কথা রাখলেন৷
    শুধু এখানে শেষ নয় মেয়েটির একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি সহ পরবর্তীতে পড়াশুনার যাবতীয় খরচ বহনেরও দায়িত্ব নিয়েছেন ওসি মাইনুল জাকির। মেয়েটি লেখাপড়া করে কি হতে চায় জানতে চাইলে, মেয়েটি জানায় সে পুলিশ হতে চায়। মেয়েটির আত্মবিশ্বাস দেখে ওসি জাকির সিলেটের সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের সাথেও কথা বলেন। পুলিশ সুপার মহোদয়ও আশ্বস্ত করেন মাইনুল জাকিরকে, বাংলাদেশের যে প্রান্তে তিনি চাকুরীরত থাকবেন তিনি বিষয়টি দেখবেন। কারন তিনি যে, মেয়েটিকে আশ্বস্ত করেছেন।
    এদিকে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনার পর গত ১৪ মে মঙ্গলবার জৈন্তাপুর মডেল থানায় মেয়েটিকে ডেকে এনে তাঁর একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিসহ পরবর্তীতে পড়াশুনার যাবতীয় খরচের টাকা তুলে দেন জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ মইনুল জাকির চারিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েলের উপস্থিতিতে।
    এই সমাজে সমাজ প্রতিরা যেখানে প্রতিনিয়ত নির্যাতিতদের পাশে না দাঁড়িয়ে তাদেরকে নর্দমার ঝুড়িতে ফেলে দিচ্ছেন বা নির্যাতিতদের সরলতা নিয়ে নানা কর্মকান্ড করেন৷ সেই সমাজে ওসির এমন মহানুববতা কে আমি ধন্যবাদ দেব না মাইনুল জাকির, কারণ ধন্যবাদ দিলে উনার মহত্বকে ছোট করা হবে। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় খান মোঃ মাইনুল জাকিরকে। স্যালুট আপনাকে।
    মানুষ মানুষের জন্য। আসুন আমরা প্রত্যেকেই সামর্থানুযায়ী একজন করে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াই৷