কাগজের ফুল বিক্রি করে সংসার চলে কিশোর জহুরুলের

    0
    471

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৭সেপ্টেম্বর,নাজমুল হক নাহিদ: ফুল সৌন্দয্যের প্রতীক। ফুলকে কেনা ভালোবাসে ? সৌন্দয্য পিপাসু মানুষ বাড়ির আঙিনায় ফুল চাষ করেন। কেউ বা আবার মৌসুমি ফুলের টব রাখেন বাড়ির ছাদ বা ঘরের বারান্দায়। আর শিশুদের খেলনা কিংবা ঘরের সৌন্দয্য বৃদ্ধিতে ঘরে রাখেন কৃত্রিম ফুল। তাছাড়া বিয়ে, জন্মদিন, শুভ হালখাতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাগজের ফুলের কদরতো রয়েছেই।

    তাই প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লার পথে পথে ঘুরে ঘুরে রঙ্গিন কাগজের ফুল ও প্লাস্টিকের ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন আত্রাই উপজেলার জামগ্রাম গ্রামের সাজ্জাদ প্রামানিকের পূত্র কিশোর জহুরুল ইসলাম। সারাদিন কাঠফাটা রোদ কিংবা মুষলধারে বৃষ্টি যাই হোক না কেন ব্যবসা করতে যেতেই হবে তাকে। ফুল বিক্রি করতেই হবে। তানা হলে সংসার চলবে কি করে? নিজ হাতে তৈরী কাগজের ফুলই তো তার অন্ন জোগাতে সিংগভাগ ভ’মিকা রাখছে। ফুল নেবে…. ফুল….লাল-নীল রঙ্গিন কাগজের ফুল। এমন করে গ্রামের মেঠো পথে কাগজের ফুল বিক্রেতার হাঁক শুনলেই গ্রামের ছোট বড় সকলেই ছুটে আসেন ফুল নিতে।

    কাগজের ফুল শুধু সৌন্দয্যের প্রতীক নয়, আত্রাইয়ের অর্ধশত পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতে বিশেষ ভুমিকাও পালন করছে। আত্রাই উপজেলার জামগ্রাম গ্রাম ঘুরে দেখলে মনে হয় যেন ফুলের মেলা বসেছে। আর কাগজের ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে উপজেলার জামগ্রাম গ্রামের জহুরুল ইসলামসহ অর্ধশত পরিবার।

    গতকাল নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর জমিদার বাড়ির সামনে পড়ন্ত বিকেলে দেখা মিলল জহুরুল ইসলাম নামের এক কাগজের ফুল বিক্রেতার সাথে। ফুল বিক্রির পাশাপাশি দীর্ঘ সময় আলাপচারিতায় তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি আগে বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলাম। জীবিকা অর্জন আর অল্প পুঁজিতে এ ব্যবসা করা যায় বলেই আজ আমি এ ব্যবসা শুরু করেছি। বাবা-মা ভাইকে সঙ্গে নিয়েই অভাবের সংসারে এভাবেই জীবন যুদ্ধো চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিন সকাল হলেই ফুল বিক্রি করতে চলে যায় উপজেলার ভবানীপুর, কাশিয়াবাড়ি, নওদুলি, বান্ধাইখাড়া, সিংসাড়া, ধর্মপুর, লালপাড়া, বিষা ও হাটকালুপাড়াসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা গুলোতে।

    প্রতিদিন আমি কম পক্ষে ২৫০ টাকা থেকে ৩ শত টাকা পর্যন্ত আয় করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। তিনি আরো বলেন, ব্যবসা যদিও লাভজনক তার পরও জীবনের যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়ে আমাদেও এ ব্যবসায় করতে হয়। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসের ছাদে বা ট্রাকে গন্তব্যে যাই।