কলকাতায় ফ্লাইওভার ভেঙে নিহতের সংখ্যা ২০ জনে উন্নীত

    0
    375

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩১মার্চঃ বাংলাদেশের   প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায় নির্মানাধীন ফ্লাইওভার ভেঙে নিহতের সংখ্যা ২০ জনে উন্নীত হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ পত্রে জানা গেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন জানান, এত বড় দুর্ঘটনা এর আগে কলকাতায় হয়নি।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইতিমধ্যেই ২০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়াবে। ভাঙা স্তূপের নীচে এখনও চাপা পড়ে আছে যাত্রীসহ বাস এবং আরও কয়েকটি গাড়ি। কলকাতা পুলিশ ও দমকলের পাশাপাশি উদ্ধার কাজে ৪০০ সেনাবাহিনীর সদস্যকে নামানো হয়েছে। এদিকে এত বড় দুর্ঘটনায় চুপ করে বসে নেই কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ উপহাইকমিশনও। বাংলাদেশিদের জন্য সেখানে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রসঙ্গত ২০০৯ সাল থেকে উড়ালসড়কটির নির্মাণকাজ চলছে। ভারতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়া প্রায়ই দীর্ঘ সময় ধরে এ রকম নির্মাণকাজ চলে বলে অভিযোগ রয়েছে।

    দূতাবাস থেকে জানানো হয় হতাহতের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি থাকা অসম্ভব কিছু নয়। প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায়িক ও চিকিৎসার কারণে কলকাতায় আসেন প্রচুর মানুষ। যদি কোনো খবর জানার থাকে, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ দূতাবাসের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে পারেন। নম্বর ০৩৩ ৪০১২৭৫০০। ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে এসব নম্বর। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে রাজ্য সচিবালয় নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। নম্বর ০৩৩-২২১৪৫৬৬৪/০৩৩-২২১৪৩৫২৬/১০৭০।
    আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কলকাতায় গিরীশ পার্কের কাছে নির্মাণাধীন উড়ালসড়ক ভেঙে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    ধ্বংসস্তূপে দেড় শতাধিক মানুষ আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার এটিকে স্মরণকালের দুর্ঘটনা বলে অভিহিত করেছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজে সহায়তা করতে সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে। ধাতব পদার্থ ও সিমেন্টের কাঠামোর ধ্বংসস্তূপ থেকে আটকে পড়া লোকজনেক কোনো সরঞ্জাম ছাড়াই উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেকে আটকে পড়া লোকজনের কাছে পানির বোতল পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছেন।

    ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কর্মকর্তা রায়চন্দ মেহতা বলেন, পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। ধ্বংসস্তূপে কতজন আটকা পড়েছে, এ ব্যাপারে এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে কিছু বলা কঠিন। প্যারামেডিকরাও উড়ালসড়ক ভেঙে পড়ার ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাস ও গাড়ির ভেতরে আটকে পড়া লোকজনে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উদ্ধারের জন্য ভারী জিনিস তোলার ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্রপাতি দরকার।

    এলাকাটি জনবহুল হওয়ায় উদ্ধারকাজ চালানোও কঠিন হয়ে পড়েছে। রাজ্য সরকারের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বার্তা সংস্থা এনডিটিভিকে বলেন, আবাসিক এলাকায় খুবই অপরিকল্পিতভাবে এ রকম একটি উড়ালসড়ক নির্মাণের কাজ চলছিল যা পুরোপুরি সরকারের ব্যর্থতা।