কর্মঠ ইউএনও’র নেতৃত্বে বদলে যাচ্ছে জুড়ীর দৃশ্যপট

    0
    224

    হাবিবুর রহমান খান,জুড়ী থেকেঃ একজন কর্মঠ দায়িত্বশীল অফিসারই পারেন শ্রম ও দক্ষতার মাধ্যমে একটি উপজেলার পরিবর্তন করতে। তার বাস্তব প্রমাণ হচ্ছে মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী জুড়ী উপজেলা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বনিকের কার্যকরী উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বদলে যাচ্ছে জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন দৃশ্যপট।

    তিনি ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর জুড়ী উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর যোগদানের পর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন কর্মকান্ড নতুন রুপে রুপান্তরিত হতে শুরু করেছে।

    জানা গেছে, অসীম চন্দ্র বনিক দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই উপজেলা চত্তরে সিএনবি রোডের পাশে অপরিকল্পিত গরুর খামার উচ্ছেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বর থেকে অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ করেন।

    এতেই থামেননি তিনি, তাছাড়াও হাকালুকি হাওরে দীর্ঘদিনের মৎস্য সিন্ডিকেট ভেঙ্গে রাবার ড্যাম্প এলাকায় অবৈধ মৎস্য নিধন বন্ধ করা। বজিটিলা এলাকায় অবৈধ পাথর উত্তলন বন্ধ করা। উপজেলার সকল অফিসে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন। যার ফলে অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে সকল উন্নয়নমুলক ফাইল তড়িৎ গতিতে হচ্ছে।

    সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিরসনে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ। দীর্ঘদিন থেকে নিয়ন্ত্রনহীন বালুমহালের নিয়ন্ত্রন ফিরিয়ে আনা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে নাগরিকদের বসার জন্য দৃষ্টিনন্দন আসবাবপত্রের ব্যবস্থা, উপজেলা পরিষদ বাংলো ও কনফারেন্স রুম আধুনিকায়ণ।

    সম্প্রতি জুড়ীতে অনুষ্ঠিতব্য স্কাউটের অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে বঙ্গভবনে গিয়ে সরাসরি আমন্ত্রণ। ভিক্ষুকদের পূর্নবাসনের মাধ্যমে উপজেলাকে ভিক্ষুক মুক্তকরণ এবং জুড়ী বাসীর দীর্ঘদিনের দাবী জুড়ী শহরের স্থায়ী জলাবদ্ধতা থেকে প্রিয় শহরকে মুক্ত করা। এতে তাঁর যুগান্তকারি প্রদক্ষেপ গ্রহণে জুড়ী শহরকে স্থায়ী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হতে চলছে।

    তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রাথমিক পর্যায়ে সাকিবনগর খাল থেকে (কন্টিনালা) জুড়ী নদী পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার একটি খাল খননের কাজ শুরু করেছেন। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। তাঁর উন্নয়নমূলক কাজকর্ম স্বচক্ষেদেখে গোটা উপজেলাবাসী তাঁকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। অনেকেরই দাবী ওই খালের নাম “অসীম খাল” নামে নামকরণ করা হউক।

    স্থানীয় জমির আলী, আব্দুল জব্বার, আব্দুল হান্নান, মানিক মিয়া, আবুল কাসেম বলেন, বর্তমান ইউএনও সাহেব আসার পর থেকে আমাদের এলাকায় একের পর এক বড় বড় কাজ হচ্ছে। আমাদের জুড়ী উপজেলার চেহারা দিন দিন বদলে যাচ্ছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বনিক বলেন, আমি কর্মে বিশ্বাসী। আমার দায়বদ্ধতা থেকেই এই সকল উন্নয়নমূলক কাজ করছি। এসব কাজে স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ শাহাব উদ্দিন স্যারসহ জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ আমাকে সহযোগিতা করছেন।