করোনার নয়া স্ট্রেইনকে ভয় নয় বরং সতর্কতা প্রয়োজনঃডা. রণদীপ

    0
    320

    অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস)-এর পরিচালক ও করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের সদস্য ডা. রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, করোনার নয়া স্ট্রেইনকে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই, বরং সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আজ (শুক্রবার) গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডা. গুলেরিয়া বলেন, লোকেরা কেবল সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন এবং মাস্ক ব্যহবার করুন,তাহলে কারও কিছুই হবে না।

    ব্রিটেন থেকে আসা করোনাভাইরাসের নয়া রূপে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। গত ৪/৫ দিনের মধ্যে ব্রিটেন থেকে যারা ভারতে ফিরে এসেছেন তাদের প্রতিও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।

    গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে গতকাল (বৃহস্পতিবার) বলেন,  ৯ ডিসেম্বরের পরে ব্রিটেন থেকে আসা ৯৭৯ জন যাত্রীর আরটি-পিসিআর টেস্ট হয়েছে। এরমধ্যে ১১ জনের দেহে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের দক্ষিণ গোয়ার ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই আক্রান্তদের নমুনা পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে।

    কেন্দ্রীয় সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান পরিসেবা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে। এছাড়া সম্প্রতি ব্রিটেন থেকে ফেরা যাত্রীদের ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

    এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে করোনার এই নয়া রূপকে ভয় পাওয়ার খুব দরকার আছে কি না। ‘এইমস’-এর পরিচালক ও করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের সদস্য ডা. রণদীপ গুলেরিয়ার মতে, ব্রিটেন থেকে করোনার এই নয়া স্ট্রেইন থেকে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা প্রমাণ করে যে এই বিস্তারটি দ্রুত হয়েছে। কিন্তু বেশি লোককে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয়নি, বা বেশি লোক মারাও যাচ্ছে না।

    তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমরা অন্যান্য দেশের তুলনায় ভাল অবস্থায় আছি। এমন পরিস্থিতিতে করোনার এই নতুন স্ট্রেইন সম্পর্কে আমাদের সতর্ক  হওয়া দরকার। আমাদের সুস্থতার হার ভালো। আমাদের এখানে খুব কম  লোক মারা যাচ্ছে। আমরা যদি করোনার বিষয়ে নির্দেশিকা অনুসরণ করি, অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহার করি তাহলে আমরা নয়া ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে পারি।’

    ডাক্তার গুলেরিয়া আরও বলেন, এই ভাইরাসটিকে নয়া স্ট্রেইন বলা হলেও  সত্যি এটাই যে এই ভাইরাসটি প্রতি মাসে দু’বার তার রূপ পরিবর্তন করে। তিনি বলেন, ‘ভাইরাসটির ফর্ম প্রতি মাসে গড়ে দু’বার পরিবর্তিত  হয়। তবে এর লক্ষণগুলো একইরকম। এর চিকিৎসাও আগের মতোই হবে যেরকম আগে করা হয়েছে। তরুণদের মধ্যে করোনার এই রূপটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সুতরাং, তাদের সাবধানে থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও, বর্তমান তথ্য অনুসারে, ভাসকিনও এর বিরুদ্ধে কার্যকর হবে।’

    ডা. গুলেরিয়ার মতে, এই বছরের শেষের দিকে বা নতুন বছরে আমরা করোনার ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। তিনি বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন  অনুমোদনের আগে দু’টি বিষয় দেখব। প্রথমত, এটি কতটা নিরাপদ এবং দ্বিতীয়ত, এটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর।’

    ‘যারা আমাদের অগ্রাধিকার তালিকায় আছেন তারা আগামী ৬/৮ মাসের মধ্যে এই ভ্যাকসিনটি পাবেন। এটি রাতারাতি হবে না। এজন্য সময় লাগবে’ বলেও ‘এইমস’-এর পরিচালক ডা. রণদীপ গুলেরিয়া মন্তব্য করেন।পার্সটুডে