করোনার ঝুঁকিতে পড়া মানুষের জন্যই এই বাজেটঃঅর্থমন্ত্রী

    0
    225

    ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে তা মুলত করোনাভাইরাসের কারণে ঝুঁকিতে পড়া মানুষদের বাঁচানোর লক্ষ্যেই করেছে সরকার। এই বাজেটের মাধ্যমে মানুষের জীবন রক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থান ধরে রাখা, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেবে। এজন্য আয়ের কথা চিন্তা না করেই ব্যয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাস পরবর্তী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেওয়াও এ বাজেটের লক্ষ্য।

    শুক্রবার বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে এমন মতামত জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। করোনা পরিস্থিতির কারণে সংবাদ সম্মেলনটি প্রচলিত ব্যবস্থায় আয়োজন না করে অনলাইনে করা হয়। এর শুরুতে সূচনা বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী। এরপর অনলাইনে সংযুক্ত থেকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কয়েকজন মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, গভর্নর, এনবিআরের চেয়ারম্যান ও অর্থ সচিব।

    অর্থমন্ত্রী সূচনা বক্তব্যে বলেন, এবারের বাজেট স্বাভাবিক বাজেট নয়। স্বাভাবিক বাজেট হলে সংবাদ সম্মেলনের অনুষ্ঠান হতো অন্য জায়গায়, অন্যভাবে। ক্রান্তিকালে এটি গতানুগতিক ধারার বাজেট নয়। বাজেট প্রনয়নের প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত ছিল না। অতীত অর্জন, অভিজ্ঞতা, মানুষ কিভাবে, কি স্বপ্ন দেখে সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে বাজেট করা হয়েছে। স্বাভাবিক পথ ছিল রুদ্ধ। ফলে ভিন্ন পথে করতে হয়েছে। অনেকের কাছে অসঙ্গতি মনে হতে পারে। কিন্তু উপায় ছিল না। বাজেট না থাকলে সরকারের কোষাগার থেকে অর্থ নেওয়া যায় না। এজন্য বাজেট করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ, শ্রমজীবী, দোকানদারসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সে ব্যবস্থা করতে। সরকারের মূল লক্ষ্য মানুষকে বাঁচানো। স্বাভাবিক নিয়মে বাজেট করা না হলেও যেভাবে সাজানো হয়েছে, সেভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। সরকার আশা করছে, করোনা প্রলম্বিত হবো না। আইএমএফ বলছে, আগামী অর্থবছরে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। অবকাঠামো প্রস্তুত। আমরাও আশা করছি, ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তা হবে। যদিও কষ্টসাধ্য কাজ। কারণ দেশের কর জিডিপি অনুপাত ১০ শতাংশের কাছাকাছি। এটাকে বাড়িয়ে ১৫ থেকে ১৭ শতাংশে নেওয়া গেলে প্রচুর উদ্বৃত্ত অর্থ থাকবে। এজন্য পূর্নাঙ্গ অটোমেশন দরকার। ভ্যাটের জন্য যেসব মেশিন কেনার কথা ছিল করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে তা কেনা সম্ভব হয়নি। প্রক্রিয়াধীন আছে। আশাকরি দ্রুত কাজটি শেষ হবে।

    অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শেকড়ের সন্ধানে বেরিয়ে পড়তে। সারা বিশ্বের শেকড় হচ্ছে কৃষি। কৃষিকে নতুন করে আবিষ্কার করতে হবে। এমনভাবে সাজাবো যে আগামীতে এগোতে পারবো। সরকারের বর্তমানে দুটো লক্ষ্য। প্রথমত করোনার বিস্তার রোধ করা। দ্বিতীয়ত অর্থনীতিতে এর যে নেতিবাচক প্রভাব তা মোকাবিলা করা। বিভিন্ন খাতের সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের মাধ্যমে আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়া। হঠাৎ করে অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়েছে। খাবার, চাকরি, সুযোগ সুবিধা সৃষ্টির জন্য অনেক অর্থের দরকার পড়েছে। সেই কাজটি করা হয়েছে।

    এরপর তিনি সাংবাদিকদের থেকে প্রশ্ন আহ্বান করেন। নিজে এবং অনুষ্ঠানে সংযুক্ত অন্যান্য মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সচিবরা তার উত্তর দেন।

    প্রথম প্রশ্ন আসে ব্যক্তি শ্রেণীর করসীমা বিষয়ে। এর জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন,করমুক্ত আয়সীমা ন্যূনতম ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে। তিন লাখ টাকা যার আছে সে এখন গরীব না। হয়ত ধনীদের নিচের দিকে। সমাজে সমতা আনতে কর আরোপ করা হয়। ধনী আরও ধনী হয়ে গেল। গরীব না খেয়ে থাকলো। এটা সরকার চায় না।

    সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় আম্পানসহ অন্যান্য দুর্যোগের ক্ষতি মোকাবিলা ও কৃষি খাতের উদ্যোগ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারী ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এরকম অবস্থায় বাজেট করা হয়েছে। সারা পৃথিবীর মহামন্দা বিবেচনা করতে হয়েছে। এছাড়া সপ্তম থেকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতে যাওয়া, এসডিজি সবই মাথায় রেখে বাজেট করতে হয়েছে। এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। তিনি বলেন, উপকূলের বাঁধ এমনভাবে ভেঙ্গে যায়, যে তা সহজে পুনর্গঠন করা যায় না। বর্তমানে সেনাবাহিনী ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে। জমি উদ্ধার, মানুষকে ঘরে ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। উপকূলে ২০ লাখ হেক্টর জমিতে লবণ সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভব করা হয়েছে। পটুয়াখালীতে তরমুজ, মুগডাল হচ্ছে। এগুলো আগে হত না। আমরা নতুন ফসল নিয়ে এসেছি। আগামী রবি মৌসুমে বীজ, সার, মাঠ পর্যায়ে সহায়তা দেওয়া হবে। প্রণোদনা আছে। অর্থের কোনো সমস্যা হবে না। কৃষিতে সার্বিকভাবে অনেকগুলো প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। সরকার বিশ্বাস করে খাদ্য সংকট হবে না।

    বাজেটের ঘাটতি বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন,মানুষকে রক্ষা করার জন্য বাজেট দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আয়ের চিন্তা করেননি। মানুষকে আগে বাঁচাতে হবে। কর্মসংস্থান দিতে হবে। অবকাঠামো ঠিক করতে হবে। প্রথমে খরচ করবো, তারপরে আয় করবো। এই যাত্রায় এই কাজে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা দরকার। সবার দায়িত্ব আছে মানুষের প্রতি। এজন্য সবাই মিলে মোকাবিলা করতে হবে।

    কমিউনিটি ক্লিনিক কোভিড মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখেনি এরপর বাজেটে নতুন করে কমিউনিটি ক্লিনিক করার উদ্যোগ কেন নেওয়া হয়েছে- এর জবাবে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী বলেন, আগে মানুষকে বাঁচাতে হবে। তারপর টাকার যোগান। আমাদের সরকার যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসে তখন সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়। এরপর বিএনপি তা বন্ধ করে। আবার সরকার তা চালু করেছে। এখন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। টেলিমেডিসিনে যাচ্ছে। আমরা আরও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা চিন্তা করবো। এজন্য অবকাঠামো দরকার।

    তিনি বলেন, একশ বছরের মধ্যে এখন সবচেয়ে বড় মন্দা। আমেরিকা ৬ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যাংক থেকে ধার করেছে। সে তুলনায় বাংলাদেশের ব্যাংক ঋণ কম। প্রয়োজন হলে সরকার আরও ঋণ নেবে। ভয় পাওয়ার কারণ নেই। পারিবারিক জীবনে ধার করতে হয়, জাতীয় জীবনেও ধার করতে হয়।

    আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে খেলাপি ঋণ বেশি ছিল। সেজন্য ব্যাংকগুলো মাঝে মাঝে তারল্য সংকটে পড়তো। ইদানিং কারোর তারল্য পরিস্থিতি খারাপ তা বলা যাবে না। ফলে ব্যাংক ঋণ দিতে পারছে। ব্যাংকের কাছে অনেক টাকা থাকতে হবে তা জরুরি নয়। অর্থে গুনিতক প্রভাব সৃষ্টি করা জরুরি। পর্যাপ্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ আছে। পুঁজিবাজার থেকে অনেক অর্থ নেওয়া যাবে।

    বেসরকারি বিনিয়োগ কিভাবে বাড়বে জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করার জন্য প্রস্তুত। ১০০টি এইজেডের ১৭টি প্রস্তুত। বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসবে আশা করা হচ্ছে। ডিজিপির অনুপাতে রাজস্ব ১৫ ভাগে নিতে পারলেও অনেক টাকা থাকবে। সেই টাকা বিনিয়োগ করা যাবে। বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে স্থানীয় শিল্পের সুবিধা নিতে পারবে। ফলে স্বয়ংক্রয়িভাবে বিনিয়োগ আসবে। গত কয়েক বছরে এফডিআইয়ের ট্রেন্ড ইতিবাচক। এতদিন সরকার বুঝতে পারেনি কোন পথে এগোলে বিনিয়োগ আসবে। এখন বুঝেছে। আইন সহজ করা হচ্ছে। সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া হবে। এছাড়া সুদহার কম। সুদহার ৯ শতাংশের বেশি হলে খেলাপি ঋণ বাড়ে, বিনিয়োগ হয় না। বিদেশে বিনিয়োগ চলে যায়। এখন যাবে না। করোনা যদি প্রলম্বিত হয়, তাহলেও সরকার প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ সরকারের ঋণ অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় কম। জিডিপির অনুপাতে ঋণ ৩৪ শতাংশ। ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। সরকার মানুষের ঘরে ঘরে যাবে।

    মোবাইল ব্যবহারে কর বাড়ানো বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, মূল সমস্যা কত বাড়লো তা বিষয় নয়, বাড়ানো হয়েছে এটাই সমস্যা। বলা হচ্ছে এতে মোবাইলের কল রেট বেড়ে যাবে। হয়ত মোবাইল অপারেটররা এ সুযোগ নেবেন। এক টাকায় ৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এতে মানুষের ব্যয় বেড়ে যাবে তা এনবিআর মনে করে না। কারণ মানুষ অনেক কম খরচে কথা বলছে। ফলে অনেক অপ্রয়োজনীয় কথাও বলছে। রেল লাইনে মারা যাচ্ছে।

    রাজস্ব আয়ের লক্ষ অর্জন বিষয়ে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাব থাকলে অর্জন করা কঠিন। না থাকলে অর্জন করতে প্রস্তুত এনবিআর। কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে সরকার ব্যর্থ। এই ব্যর্থতার কারণ বারবার কর হার বাড়ানো হয়েছে। করের নেট বাড়ানো হয়নি। এতে করের নেট থেকে বের হওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। করের নেট বাড়ানো দরকার। সেটা করতে হবে। প্রকৃত অর্থে যাদের কর দেওয়ার কথা তারা সকলে কর দিলে করমুক্ত আয়সীমা আরও বাড়ানো যাবে। এবারেরর বাজেটে এজন্য ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক কর কমানো হয়েছে। সবাই যাতে এগিয়ে আসে। ফাঁকি না দেয়।

    স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতা ও দুর্নীতি দূর করা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান বলেন, দুর্নীতি দূর করা একটা কর্তব্য, সেটা সরকার দেখবে। স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রসারণ করা জরুরি। কমিউনিটি ক্লিনিক বাড়ানো হলে তা হবে। তবে ব্যবস্থাপনার ত্রুটি দূর করতে হবে।

    ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়ের ওপর ৩ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক বসানো প্রসঙ্গে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ১০ লাখের নিচে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। গত বছর সঞ্চয়পত্রের কারণে ব্যাংক থেকে আমানত চলে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। সঞ্চয়পত্র এখন আর আকর্ষণীয় নয়। ফলে আমানত কমবে না।

    স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ প্রসঙ্গে অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আরও কিছু টাকা বরাদ্দ করা গেলে ভালো হত। বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে দুটি বিষয় দেখা হয়। প্রথম টাকা নেওয়ার সক্ষমতা কতটা আছে। দ্বিতীয়ত বরাদ্দের ক্ষেত্রে সরকারের কাঠামো। চাইলে বরাদ্দ কমানো যায় না। আবার অনেক বাড়ানোও যায় না। প্রবৃদ্ধি অনুযায়ী হিসাব করা হয়। গত পাঁচ বছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বরাদ্দের চেয়ে ১০০০ বা ১২০০ কোটি বেশি খরচ করতে পেরেছে। এটি সক্ষমতার অভাব। তবে করোনা মোকাবিলায় অতিরিক্ত ১০ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়েছে। সক্ষমতা বিবেচনা করে প্রয়োজন অনুযায়ী দেওয়া হবে।

    এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাত যত টাকা নিতে পারবে, তত দেওয়া হবে। তবে এজন্য তাদের কার্যকর সেবা বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে টাকার অভাব হবে না। তবে সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

    পুঁজিবাজার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশের সরকারই পুঁজিবাজার চাঙ্গা করে না। সরকারের কাজ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা। এর প্রতিফলন হবে পুঁজিবাজারে।

    বরাদ্দ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে প্রাধান্য দেওয়ার কারণ শুধু সরকার নয়, জনমতও তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন। স্বাস্থ্য অবহেলিত ছিল। বর্তমান সরকার কাটিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।

    অর্থ পাচার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোনো সরকারই চায় না দেশের অর্থ বিদেশে চলে যাক। আইন দেখা দরকার। স্বয়ংক্রীয় ব্যবস্থা করা গেলে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। আইনি প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে পারেন। আইন থাকলে বাস্তবায়ন করবো। না থাকলে আইন করা হবে। আমরা চাই এদেশের অর্থ বিদেশে না যাক। যারা এখানে খরচ করতে চায় না, তারা একবারেই চলে যাক না।