করোনা:মৌলভীবাজারে জনসচেতনতায় সেনাবাহিনীর টহল

    0
    242

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ  মৌলভীবাজার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী (২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল) পর্যন্ত টানা ১০ দিন ছুটির আজ ৩য় দিনে মৌলভীবাজারের ব্যস্ততম শহর ছিল জনশূন্য। সিভিল সার্জন অফিস সূএে জানাযায় এ পর্যন্ত জেলার সাতটি উপজেলায় সাস্থ্য বিভাগের হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬০৪ জন, এদের মধ্যে ছাড়পএ পেয়েছেন ২৯৪ জন। পূর্বের ঘোষনা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে জেলার সকল প্রকার যানবাহনও। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও সেনা বাহিনী। শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে মুদি দোকান আর ঔষুধের দোকান ব্যাতিত সব ধরনের দোকান-মার্কেট বন্ধ রয়েছে। এদিকে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মৌলভীবাজার শহর ও গ্রামে জেলা পুলিশের সাথে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
    শনিবার (২৮ মার্চ ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল হানিফ এর নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেয় সেনা সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর র্সাকেল) জিয়াউর রহমান ও পুলিশ সদস্যরা । শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে টহলের পাশাপাশি হ্যান্ড মাইক দিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে করনীয় বিষয়ে মাইকিং করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে না থাকতে আর হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে চলতে অনুরোধ করা হয় মাইকিংয়ে।
    এ সময় জেলায় সেনা সদস্যদের টিম লিডার লে: কর্নেল হানিফ বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে সেনাবাহিনী। মৌলভীবাজার জেলায় সেনা বাহিনীর তিনটি টিম সদরসহ জেলার সাতটি উপজেলায় ১৭ ডিভিশনে ১৭ আর্টিলারি ব্রিগেডের অদিনস্থ তিনটি উইনিট এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে ।
    আর সদর উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন বাধ্যতামূলক ভাবে যার যার ঘড়ে অবস্থান করতে হবে, তবেই মৌলভীবাজার তথা বাংলাদেশ করোনামুক্ত হবে।
    করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, এবং অপ্রয়োজনে কেউ যাতে বাহিরে ঘোরাফেরা না করেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে মাঠে নামানো হয় সেনাবাহিনীকে, পাশাপাশি নিত্যপণ্য মজুদ ও মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতেও সেনা সদস্যরা প্রশাসনকে সহায়তা করবেন।