করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ছুটির মেয়াদ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত

    0
    258

    করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সাধারণ ছুটি বাড়াল সরকার।

    সোমবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার এক আদেশে ছুটি বাড়াতে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকেও এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ৭ থেকে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা যেতে পারে। ৬ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটি৮ ও ৯ মে এবং ১৫ ও ১৬ মের সাপ্তাহিক ছুটিও এই সাধারণ ছুটির অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাধারণ ছুটির এই সময়ে এক জেলা থেকে অন্য জেলা এবং এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই নিয়ন্ত্রণ সতর্কভাবে বাস্তবায়ণ করবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (প্রয়োজনীয় বেচাকেনা, ওষুধ কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না। ছুটির মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশমালাও কঠোরভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে।

    প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, তবে জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যাৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানী, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থল, নদী ও সমুদ্র বন্দর) কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা ও সংশ্লিষ্ট সেবার কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির বাইরে থাকবেন।

    আদেশে বলা হয়, ‘রমজান এবং ঈদুল  ফিতরকে সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে দোকান-পাট খোলা রাখা যাবে; তবে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে।’

    এতে আরো বলা হয়, ‘বড় বড় শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এবং শপিংমলে আগত যানবাহনসমূহকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেইসঙ্গে দোকানপাট এবং শপিংমলসমূহ আবশ্যিকভাবে বিকেল ৫টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।’

    এদিকে, আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এক ভিডিও কনফারেন্সে ছুটি বাড়ানোর কথা বলেন। তবে ধীরে ধীরে দোকানপাট ও ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রথম দফায় গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দ্বিতীয় দফায় তা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত, তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এবং চতুর্থ দফায় ৫ মে পর্যন্ত ছুটি বর্ধিত করা হয়েছিল।