করোনাভাইরাসের কারণে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানসূচি পুনর্বিন্যাস

    0
    223

    করোনাভাইরাসের তিন রোগী শনাক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। প্যারেড গ্রাউন্ডে বড় পরিসরে মুজিববর্ষের যে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল সেটি স্থগিত করা হয়েছে।

    রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনিস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হবে, তবে বড় পরিসরে কোনো আয়োজন থাকছে না। এ বিষয়ে বিস্তারিত আগামীকাল সোমবার (০৯ মার্চ) জানানো হবে।

    রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন বাস্তবায়ন কমিটি এবং জাতীয় কমিটির এক যৌথসভা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।

    সভা শেষে ব্রিফিংয়ে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে দেশে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানটি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। কারণ বঙ্গবন্ধু জনগণের কষ্ট লাঘব করতে চেয়েছেন। তাই জনকল্যাণ ও জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় রেখে সামগ্রিক প্রোগ্রামটি পুনর্বিন্যাস করা হয়।

    তিনি আরও বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে জনসমাগম পরিহার করা হবে। তবে ১৭ মার্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলবে। এর আওতায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা এবং পরবর্তী সময়ে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হবে। সারাদেশে দোয়া মাহফিল চলবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান চলবে। প্রকাশনা, স্মারক ডাকটিকিট ও স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করা হবে।

    কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়ানোর কথা বলা হয়েছে। তাই ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে মুজিববর্ষের যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। সেটি কোথায়, কখন হবে, তা আমরা পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেবো। ওই অনুষ্ঠানে আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বন্ধুরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের যেসব অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানোর কথা ছিল, তাদের নিয়েই পরে ওই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। পুনর্বিন্যস্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি আসবেন কি না— সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক বলেন, এটি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে আমরা পরবর্তী সময়ে বড় পরিসরে অনুষ্ঠানটি করব। আমাদের আমন্ত্রিত অতিথিরা পরবর্তী ওই সময় আসবেন।

    রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, তিন আক্রান্তে মধ্যে একজন নারী ও দুইজন পুরুষ। তিনজনই বাংলাদেশি নাগরিক। সম্প্রতি তাদের মধ্যে দুইজন ইতালি ভ্রমণ করেছিলেন।