করোনার প্রাদুর্ভাব দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেঃস্বাস্থ্য মহাপরিচালক

    0
    237

    বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তবে সবাইকেই স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। এমনটিই হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

    বৃহস্পতিবার দুপুর করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিন প্রচার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশ জনবহুল ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। করোনাভাইরাসও ছোঁয়াচে রোগ। যার কারণে সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উল্লেখ করেন, এ ভাইরাস আগামী দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত থাকবে। তবে সংক্রমণের মাত্রা কমে আসবে।

    তিনি বলেন, জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য রাখার জন্য সরকার কাজ করে চলেছে। সরকারকে সাহায্য করতে হলে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অবহেলা, অসাবধানতা আপনারই ক্ষতি করবে। এ সময় আবুল কালাম আজাদ নিজে করেনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে উল্লেখ করে বলেন, তিনি সকলের দোয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থ হয়েছেন।

    লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংক্রমণের বিস্তার রোধে আক্রান্ত এলাকা লাল, হলুদ এবং সবুজ জোনে বিভক্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।সেক্ষেত্রে জনগণের সহায়তা চান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক।

    ওদিকে, জনস্বাস্থ্যবিদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বেনজির আহমেদ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, ‘কিসের ওপর ভিত্তি করে এমন মন্তব্য বুঝতে পারছি না। আপনি যদি সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেন তা হলে করোনা আজীবন থাকবে। এরকম কথার অর্থ হচ্ছে হাল ছেড়ে দেওয়া।’

    তাছাড়া, পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির কয়েকজন সদস্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের এ কমিটি তিন মাস ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নানা পরামর্শ দিচ্ছে। তবে, করোনা থাকবে ২–৩ বছর এমন কোনো কথা তারা সরকার বা অধিদপ্তরকে বলেনি।পার্সটুডে