কমলগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার অভাবে শিশুর মৃত্যু

    0
    465

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬এপ্রিল,কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:    কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার অভাবে শুক্রবার বিকালে ইসলামপুর ইউনিয়নের মুজিব আলীর ৪ মাসের বয়সের মেয়ে মিম এর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্বা¦াসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার সে ভর্তি হয়েছিল।

    শিশু মিমের মা মিরজান বেগম শুক্রবার সন্ধ্যায় এ প্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করে বলেন, শিশুটি শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের গুলের হাওর গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছিল। ভর্তির পর রাতেও কোন চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়নি।

    শুক্রবার সকালে শিশুটিকে একটি ইনজেকশন প্রয়োগ করার পর অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিচ তলার জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রশান্ত পালের কাছে এসে কাকুতি মিনতি করেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে শিশুটিকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তরের অনুরোধ করলেও তাকে স্থানাšতর করা হয়নি।

    অবশেষে শুক্রবার বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে জরুরী বিভাগেই শিশু মিম মারা যায়। শিশুর মা মিরজান বেগম আরও বলেন, চিকিৎসকরা সঠিকভাবে সেবা দিলে হয়ত সে মারা যেত না। তাছাড়া মৃত্যুর পর লাশ তার কাছে দিলেও এ মৃত্যুর জন্য অভিযোগ দিয়ে লাশ নিয়ে ফিরবেন বলে দায়িত্বশীল একজন চিকিৎসকের অপেক্ষায় বসে রইলেন।

    শুক্রবার সকালে একটি ইনজেকশন প্রয়োগের পর এ শিশুটির অবস্থা অবনতি হলে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে গিয়ে উপস্থিত চিকিৎসকের কাছ থেকে কোন সেবা না পেয়ে চিকিৎসার অবহেলায় বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে শিশুটি মারা যায় বলে তার মা অভিযোগ করেছেন।

    এ বিষয়ে চিকিৎসক প্রশান্ত পাল বলেন, শিশুটি শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে বৃহস্পতিবার রাতে ভর্তি হলেও শুক্রবার সকালে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: সাজেদুল কবির তাকে দেখেছেন। বেলা ২টায় শিশুটিকে মুমূর্ষূ অবস্থায় জরুরী বিভাগে নিয়ে আসার ৫ মিনিটের মধ্যে সে মারা যায়। এখানে তার(ডা: প্রশান্তের) করার কিছু নেই।

    আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: সাজেদুল কবির শিশুর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। সকালে শিশুটিকে দেখে একজন শিশু বিশেষজ্ঞকে দেখানোর জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন।

    কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ ইয়াহিয়া ছুটির কারণে মৌলভীবাজার জেলা সদরে নিজ বাসায় অবস্থানকালে মুঠোফোনে বলেন, এত বড় একটি ঘটনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে কেউ জানায়নি। তিনি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলেও জানান।