কমলগঞ্জে সরকারী স্কুলের গাছ কেটে নিলেন যুবলীগ নেতা!

    0
    438

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১২ফেব্রুয়ারি,কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- কমলগঞ্জে বিএনপি সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে স্থানীয় যুবলীগ নেতা আদমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নিয়েছেন।এ বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার -২ আসনের সংসদ সদস্যের নির্দেশে সোমবার(১২ফেব্রুয়ারী) দুুপুর একটায় উপজেলা শিক্ষা অফিসের এক তদন্তে গাছ কেটে নেওয়ার সত্যতা প্রমাণিত হয়।

    এ দিন তদন্তে উপস্থিত আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবদাল হোসেন তদন্তকারী কর্মকর্তা.জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের সম্মূখে অত্র বিদ্যালয়ের এসএমসি কমিটির সদস্য ও ইউপি যুবলীগ সম্পাদক মইনুল ইসলামকে স্কুলের গাছ কেটে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

    এ ব্যাপারে গত বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় ইউপি সদস্য বশির বক্স ও অভিভাবক জসিম উদ্দিন মৌলভীবাজার -২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করলে তিনি তাৎক্ষণিক কমলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

    সরেজমিন খোঁজ নিয়ে ও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোস্তফা মিয়া,স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হাজির বক্স ,মুহিবুর রহমান, আহমদ আলী ,জুয়েল আহমেদ সহ শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানা যায়,ইউপি যুবলীগ সভাপতি ও এসএমসি কমিটির আনোয়ার হোসেনের যোগসাজশে তার আত্মীয় এসএমসি কমিটির সদস্য ও ইউপি যুবলীগ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, আজাদ মিয়া ও ইদ্রিস মিয়াকে দিয়ে স্কুল ছুটির পর প্রকাশ্যে স্কুলের গাছ কেটে নেন। কেটে নেওয়া গাছের গুড়াগুলো মাটির নিচে চাপা দেয়া হয়, যাতে কেউ যেন না দেখে,পরে স্থানীয়রা কোদাল দিয়ে মাটি কুড়ে মাটির নীচে চাপা দেয়া গাছগুলোর গোড়া দেখিয়ে বলেন গত একমাস পূর্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার সহযোগীতায় আইনকে বৃদ্ধাংগুলী দেখিয়ে সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূত ভাবে দিনে দুপুরে কমিটির সভাপতি সহ অন্যান্যরা মিলে গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে।

    এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা আনোয়ারা বেগম মুন্নীর সাথে কথা হলে তিনি জানান,কমিটির সম্মতিতে একটি রেজিলোশন করে গাছের ডালপালা কাটার সিদ্ধান্ত হয়।কিন্তু বিদ্যালয় ছুটির পর বাড়ীতে চলে গেলে কমিটির লোকজন গাছগুলো কেটে ফেলেন। আমি থাকলে তা কাটতে দিতামনা।পরে আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন কে জানালে তিনি বলেছেন গাছ উনার হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন গাছ কাটার সাথে তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে কাটা হযেছে বলে জানান।তবে নিউজ না করার অনুরোধ করেন।

    তদন্তকারী কর্মকর্তা সহঃ উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন , ইউপি চেয়ারম্যান মৌখিকভাবে বলেছেন তিনিই গাছ কাটার নির্দেশ দিযেছেন। কমলগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র জুয়েল আহমেদকে সরকারী স্কুলের গাছ কাটার সাথে দলীয় নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি।যুবলীগের কোন নেতাকর্মী এতদসংক্রান্ত বিষয়ে সম্পৃক্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
    এ ব্যপারে বন কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন যে কোন প্রতিষ্টানের গাছ কর্তন করতে হলে অবশ্যই বন বিভাগের অনুমতি নিতে হবে।