কমলগঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে এক নারীর অভিযোগ

    0
    432

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৯অক্টোবর,কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কমলগঞ্জে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় আহত ও বসতঘরে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নির্যাতিতরা পুলিশি সহায়তায় উদ্ধার হন। এ ঘটনায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর তিলকপুর গ্রামের নির্যাতিত সুরজান আক্তার (২৫) থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে একই এলাকার মিছির মিয়া, শিবলু, শিবির সহ ছয় জনকে অভিযুক্ত করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুরজান আক্তার বলেন, আমার বাবার পৈতৃক স্বত্ব নয় শতক জমির মধ্যে আমার এক শতক জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক চাচা মিছির মিয়া তার বাড়ির রাস্তা নিয়ে যান।পরে আমার বসতঘর মেরামতে মিছির মিয়া ও তার দুই ছেলে শিবির ও শিবলু কাজে বাধা দেয়। এ  ঘটনা জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করে আমার বসত ঘর মেরামতে প্রাক্তন মেম্বার জাহিদুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে ঢেউটিন ও মেরামতের খরচ দেন। পরে মিছির মিয়া আমার বসতবাড়ির মধ্যে দুই শতক জমি পায় বলে দাবি করে।

    এ ঘটনায় আমি মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করলে তিনি কমলগঞ্জ থানায় তদন্তের নির্দেশ দেন। থানার এস,আই কৃষ্ণ মোহন সরজমিনে তদন্ত করে আমার জায়গা আমাকে দিতে মিছির মিয়াকে নির্দেশ দেন।

    তার বক্তব্যে জানা যায়, এসআই কৃষ্ণমোহন ঘটনাস্থল হতে যাওয়ার পর গত ১১ অক্টোবর বুধবার রাতে মিছির মিয়া, শিবির ও শিবলু সাত, আট জনের সংঘবদ্ধ দল দেশীয় ধারালো অস্ত্রাদি নিয়ে সুরজান বেগমের ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে তাকে ও তার ছোট ভাই উজ্জলকে মারধর করে আহত করে ও শিবলু বসত ঘরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়।খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার এসআই জাকির পুলিশ ফৌর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে হইতে আমাদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যান।

    তবে অভিযোগ বিষয়ে শিবলু মিয়া বলেন, এলাকার লোকজন মহিলাকে অসামাজিক কাজে সম্পৃক্ত পেয়ে তাদের মারধর করেছেন। মারধরের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।

    কমলগঞ্জ থানার এসআই জাকির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে দিয়ে আসি। পরে সুরজান আক্তার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল হাসান বলেন, অভিযোগটি ত্রুটিপূর্ণ থাকায় সেটি সংশোধন করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সামাজিকভাবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।